২৭ ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার বর্ণনা দিলেন টোঙ্গার সেই বাসিন্দা

গত শনিবার সাগরতলের আগ্নেয়গিরির প্রচণ্ড অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ টোঙ্গায় আঘাত হানে সুনামি। এসময় আতাতা দ্বীপের বাসিন্দা লিসালা ফোলাউ সাগরে ভেসে যান। তিনি বলেছেন, এক দিনেরও বেশি সময় ধরে সাগরে ভেসেছিলেন।

লিসালা ফোলাউ বিবিসিকে বলেছেন, ২৭ ঘণ্টা ধরে গাছের গুঁড়ি ধরে সাগরে ভেসেছিলেন। তীরে ফিরে আসার আগপর্যন্ত এভাবেই প্রাণে বেঁচেছিলেন তিনি।

৫৭ বছর বয়সী ফোলাউ বলেছেন, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ আসতে দেখে ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার ওপর আমার দৃঢ় বিশ্বাস রেখেছি যে, তিনিই আমাকে রক্ষা করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন পানিতে ছিলাম, মনে আছে আটবার পানিতে ডুবে গিয়েছিলাম। আমার পা অসাড় হয়ে গিয়েছিল এবং ঠিক মতো নাড়াতে পারছিলাম না। সমুদ্র আমাকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে পানির নিচে নিয়ে যাচ্ছিল।’ ওই সময় তিনি গাছের একটি গুঁড়ি পান।

ফোলাউ বলেন, ‘তীর থেকে আমার ছেলের ডাক শুনতে পেয়েছিলাম এবং আমি তার উত্তর দিতে চাইনি। কারণ, আমি চাইনি যে, সে আমাকে খোঁজার জন্য সাতার কাটুক।’

টোঙ্গায় এখন পর্যন্ত তিনজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তবে সেখানকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো অজানা। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে আছে। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে যাওয়া একমাত্র কেবল লাইন টোঙ্গাকে বহির্বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করেছে; সেটারও দুই জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন