২৭৬৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির ঘোষণা আজ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

৯ বছর পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে যাচ্ছে। গণভবনে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপিওভুক্তির এই ঘোষণা দেবেন। এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে গত জুলাই থেকে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেছেন, সর্বশেষ যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল, তার প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠান এবার এমপিওভুক্ত হচ্ছে।

সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার ২৭৬৮ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০–এর মতো বিদ্যালয় ও কলেজ রয়েছে।

এমপিওভুক্তির দাবিতে ২০১০ সালের পর থেকেই থেমে থেমে আন্দোলন করে আসছেন এমপিওভুক্ত নয়, এমন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–কর্মচারীরা।

গতকাল প্রায় এক ঘণ্টার মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। যোগ্য বিবেচিত একটি প্রতিষ্ঠানও বাদ যাবে না। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয় দেখা হবে না।

স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আবেদন বাছাই করে যোগ্য তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ বিবেচনায় কেবল পিছিয়ে পড়া এলাকার প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট উপজেলার মেধাক্রম অনুসারে সেরা প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৭৬৮টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠান এমপিও পাচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আরও বলেন, এমপিভুক্ত হওয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানকে নীতিমালা অনুযায়ী মান ধরে রাখতে হবে। এতে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হলে সেটির এমপিও সাময়িক স্থগিত করা হবে।

পুনরায় যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে এ সুবিধার আওতায় আবার আনা হবে। তিনি বলেন, এখনও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নজরদারির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এখন থেকে এমপিওভুক্তি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারির আওতায় আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও শিক্ষার মান বাড়াতে মনিটরিং ব্যবস্থা বাড়ানো হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমদ প্রমুখ।

রাজধানীতে আট দিন ধরে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। শুধু স্বীকৃতিকে মানদণ্ড ধরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি চান তারা। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তারা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন এবং সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন।

শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে বাড়ি ফিরে যাওয়া প্রসঙ্গে আন্দোলন আহ্বানকারী সংগঠন ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, প্রধানমন্ত্রী নতুন এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। এটি আনন্দের খবর। তবে অনশন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে কিনা তা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর জানানো হবে।

সর্বশেষ ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়। সেই হিসাবে নয় বছর পর এমপিও পাচ্ছেন শিক্ষকরা।