২৬ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাইকা

দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩১১ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। মেট্রোরেল, রেলসেতুসহ সাতটি প্রকল্পে এই টাকা খরচ হবে।

আজ বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার মধ্যে এই সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এ সংক্রান্ত নোট বিনিময় করেন। চুক্তিতে জাপানের পক্ষে সই করেন জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া। এ সময় উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে একসঙ্গে এক দিনে একটি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে এত বিপুল পরিমাণ বিদেশি সহায়তার জন্য চুক্তি সাক্ষর যে সাতটি প্রকল্পে এই টাকা খরচ হবে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাজধানীর মেট্রোরেল, যমুনা নদীতে রেলসেতু, বিমানবন্দরের টার্মিনাল, সড়ক নির্মাণ।

 

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বা এমআরটি ছয়, যমুনা রেলসেতু নির্মাণ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে উন্নয়ন, খাদ্যমূল্য চেইন উন্নতি এবং নগর উন্নয়ন ও নগর সরকার প্রকল্পে জাইকার এই অর্থ খরচ করা হবে।

 

ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরকালে ওই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের এ দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অগ্রগতির কথা জানান। তখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দেন। এসব প্রকল্প দেশের সামাজিক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

 

জাইকার প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া বলেন, করোনা মহামারি সত্ত্বেও জাপানের সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে এমআরটি-৬ এর নির্মাণকাজ চলছে। অন্য প্রকল্পগুলোরও বাস্তবায়ন হচ্ছে। জাপানের ৪১তম ঋণ প্যাকেজের আওতায় এই ঋণের সুদের হার নির্মাণকাজের দশমিক ৬৫ শতাংশ। পরামর্শক সেবার জন্য দশমিক ০১ শতাংশ। এছাড়া মাশুল হিসেবে দশমিক ২ শতাংশ অর্থ দিতে হবে। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৩০ বছর। এর মধ্যে গ্রেস পিরিয়ড ১০ বছর।

 

সূত্রঃ যুগান্তর