২৬ ঘণ্টা পর ধসে যাওয়া ভবন থেকে এক নারীকে উদ্ধার

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে ধসে যাওয়া একটি পাঁচতলা ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ২৬ ঘণ্টা পর এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধারকারীরা ছোট একটি গর্ত করে মেহেরুন্নেসা আব্দুল হামিদ কাজী (৬০) নামে ওই নারীকে মঙ্গলবার রাতে জীবিত উদ্ধার করেছেন।

এ ঘটনায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ছয় পুরুষ ও পাঁচ নারীর মরদেহ বের করে আনেন।

সোমবার রাজ্যের রায়গড় শহরে ধসে পড়া ভবনটিতে ৪৫টির বেশি ফ্ল্যাট ছিল। ধ্বংসস্তূপে আরও ১৭ জন চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে ধ্বংসস্তূপ থেকে চার বছরের এক শিশুসহ ৬০ জনকে উদ্ধার করা হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন।

পাঁচ তলা ওই ভবনটিতে শতাধিক বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনার সময় ৭৫ জন বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিশেষায়িত সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে তিনটি দল।

মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাই থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে মাহাদ জেলার রায়গড় শহরে গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আকস্মিকভাবে তারিক গার্ডেন নামের ভবনটি ধসে পড়ে।

দুর্ঘটনার কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ভবনটি ধসে পড়লে ওই এলাকায় বিশাল ধুলার মেঘ তৈরি হয়।

স্থানীয় জেলা কালেক্টর নিধি চৌধুরী জানান, প্রথমে ১০ বছরের পুরনো ভবনটির ওপরের তিন তলা ধসে পড়ে। তখন অল্প কয়েকজন মানুষ দৌড়ে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।

ঠিক কী কারণে ভবনটি ধসে পড়েছে তা এখনও পরিষ্কার হয়নি। তবে গত কয়েক দিন ধরে চলা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে এই ভবনধসের ঘটনাকে ইতিমধ্যে বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত মাসেও মুম্বাইযে ভারী বর্ষণে একটি বহুতল ভবন ধসে অন্তত ৯ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন।

 

সূত্রঃ যুগান্তর