নিজস্ব প্রতিবেদক :
মোহনপুর উপজেলার ৩৪ বছরের রাসেল শুক্রবার বুকে ব্যাথা ও জ্বর নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি যান নিজের চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে তাকে খ্রীষ্টান মিশন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয় ভর্তি হতে। কিছুটা সুস্থ অনুভব করায় তাকে শনিবার ছেড়ে দেয়া হয়। এসময় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় করোনা পরীক্ষার জন্য।
রাসেল এখন মোহনপুরে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। বাসায় তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ৯বছর ও ৩ বছরের দুই জন শিশু সন্তান আছে। রাসেল পেশায় একজন ইলেকট্রনিক্স মেকার।
রাসেল জানায়, হাসপাতালে ভর্তির ৪ থেকে ৫দিন আগে থেকে তিনি বুকে ব্যাথা ও জ্বর অুনভব করছিলেন। শুক্রবার তিনি হাসপাতালে গেলে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় ‘ভর্তি হবেন কিনা’। তিনি সম্মতি দিলে তাকে মিশন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এর পর ওখানে চিকিৎসক তাকে ওষুধ দিলে তিনি সুস্থ অনুভব করেন। শনিবার শরীর কিছুটা ভালো মনে হলে তিনি ছুটি চান। এসময় তিনি নিজে ইচ্ছায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে আসেন।
রবিবার সন্ধ্যায় রামেক হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা ল্যাবে অন্যান্য রোগীদের সাথে রাসেলের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়। যেখানে ৪৮ জনের সাথে তারও করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
তবে রাসেলের দাবি সোমবার দুপুর পর্যন্ত তার কাছে কোন এসএমএস আসেনি বা কেউ তাকে জানায়নি যে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
স/রা