২০ বছর কিশোর-কিশোরীদের যৌন নিপীড়ন করেছেন মেসিদের একাডেমির কর্মকর্তা!

বার্সেলোনার ফুটবলার তৈরির কারখানা হিসেবে পরিচিত ‘লা মাসিয়া’। এখান থেকেই উঠে এসেছেন লিওনেল মেসি, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জাভি হার্নান্দেস, পিওল, জেরার্ড পিকের মতো মহাতারকারা। এবার এই লা মাসিয়ার এক কর্মকর্তা আলবার্ত বানাজাসের বিরুদ্ধে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ উঠেছে। তার দায়িত্ব ছিল খেলোয়াড়দের দেখভাল করা। যদিও ২ ডিসেম্বর লা মাসিয়ায় নিজের দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব থেকে সরে গেছেন বানাজাস। তিনি ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখালেও আসল ঘটনা ফাঁস হয়ে গেছে!

২০১১ সালে বার্সা ছেড়েছিলেন বানাজাস। বর্তমান সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা তাকে আবার নিয়ে আসেন লা মাসিয়ায়। তারপরেই তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ওঠে। কাতালান সংবাদপত্র ‘আরা’ জানিয়েছে, ২০ বছর ধরে ক্লাবের কিশোর-কিশোরী ফুটবলারদের যৌন হয়রানি করেছেন বানাজাস। পত্রিকাটির কাছে আশির দশকে বার্সার একাডেমিতে থাকা দুই বন্ধু সে সময়ের স্মৃতিচারণা করে বলেছেন, ‘আমাদের জিমে নিয়ে বিভিন্ন খেলা খেলতেন তিনি। তার অন্তর্বাসে চিমটি কাটা, তার গোপনাঙ্গ ধরতে বলতেন।’ kalerkantho

বানাজাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে লা মাসিয়ার সাবেক ১০০ খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছে ‘আরা’। সাবেক এক নারী ফুটবলার জানিয়েছেন, শিশুদের অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ করেছেন, ছেলেদের সঙ্গে স্নান করতে বাধ্য করেছেন মেয়েদের। এমনকি কিশোরীদের সামনে নগ্নও হতেন বানাজাস। তাদেরও নগ্ন হতে বাধ্য করতেন। আরেক ছাত্র বলেন, ৯ বছর বয়সে তাকে বানাজাস স্নান করার দৃশ্য দেখতে বাধ্য করেছিলেন। এমন ঘটনায় অনেক খেলোয়াড় নাকি এখনও মানসিক চিকিৎসা নেন।

ভিকটিমদের অভিযোগ, বার্সা কর্তৃপক্ষের কাছে বানাজাসের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিত না। উল্টো শিক্ষার্থীদের ক্ষমা চাইতে বাধ্য করত। তাই দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বানাজাস। এ ব্যাপারে সংবাদপত্র ‘আরা’র কাছে বানাজাস ১৭, ১৮ বা ২০ বছর বয়সী ছেলেদের সঙ্গে একসঙ্গে স্বমেহন করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এখন হলে আমি এসব করতাম না। একদম না। হ্যাঁ, এসব করায় আমি দুঃখিত, কিন্তু আমার মনে হয় না, আমি কোনো ভুল করেছি! আমি কখনো কাউকে কষ্ট দিইনি, যদি দিয়ে থাকি সেটা অনিচ্ছাকৃত।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ