২০ বছরের বিরতি শেষে পশ্চিমতীরে নতুন বসতি স্থাপন করছে ইসরায়েল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

২০ বছরের বিরতি শেষে অধিকৃত পশ্চিমতীরে নতুন বসতি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিপরিষদ। পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বসতি কমিয়ে আনতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যখন আলোচনা চলছে তখনই বসতি সম্প্রসারণের এ বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিলো ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ইসরায়েলের নতুন বসতি স্থাপনের প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। ইসরায়েল সরকারের বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে মিডল ইস্ট মনিটর খবরটি নিশ্চিত করেছে। মিডল ইস্ট মনিটর যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতসহ মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদ পর্যবেক্ষণ করে থাকে সংগঠনটি। এদিকে ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত সংগঠন পিএলও।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ এর দশকের শুরু থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় শান্তি আলোচনা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা চায় পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী বানাতে। ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েল। অবশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৬৭ সালের পর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ১শরও বেশি বসতি স্থাপন করেছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে স্থাপিত প্রায় ১৪০টি বসতিতে ৬ লাখেরও ইসরায়েলি বসবাস করে।আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এ বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হলেও ইসরায়েল তা মানতে চায় না। এবার ইমেক শিলো এলাকায় নতুন বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

এর আগে নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নতুন একটি বসতি স্থাপনের অঙ্গীকার করেছি….আজ তা আমরা রক্ষা করব।’

এদিকে ইসরায়েল সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে পিএলও’র নির্বাহী কমিটির সদস্য হানান আশরাউয়ি বলেন, ‘আজকের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আরও একবার প্রমাণ হলো যে স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের চেয়ে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী জনগোষ্ঠীকে শান্ত করতেই বেশি বদ্ধপরিকর ইসরায়েল।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ প্রশাসনই বর্তমানে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ সীমিত করে আনা নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন