বৃহস্পতিবার , ৬ জানুয়ারি ২০২২ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

১৪০ দিন পর খাবার খেলেন সেই ফিলিস্তিনি

Paris
জানুয়ারি ৬, ২০২২ ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

বিনা কারণে আটকে রাখার প্রতিবাদে আমরণ অনশন করা হিশাম আবু হাওয়াস তার অনশন ভেঙেছেন। অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশন নামক একটি কালো আইনে তাকে আটক করে দখলদার ইসরাইল।

এর প্রতিবাদে  ১৪২ দিন না খেয়ে  ছিলেন তিনি। এতে করে তার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায়।  ফলে ইসরাইল তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে।

হিশাম আবু হাওয়াসের আইনজীবী জানিয়েছেন, ইসরাইলের বন্দিদশা থেকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবেন তিনি।  এই খবর জানার পর ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট দলের সদস্য হিশাম অনশন ভাঙেন।

অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশন আইনে ইসরাইলি সেনাবাহিনী যে কাউকে কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া গ্রেফতার করতে পারে। এরপর কোন বিচার না করেই যতোদিন ইচ্ছা আটকে রাখতে পারবে। যদি বিচার শুরুও হয় তাহলে সে বন্দি জানতে পারবেন না কোন অপরাধে তার বিচার করা হচ্ছে। ফলে এই আইনে কেউ আটক হলে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান না।

কয়েকদিন ধরে আবু হাওয়াসের মুক্তির দাবিতে গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। তাছাড়া অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশনে আটক আরো প্রায় ৫০০ বন্দি জানায়, আবু হাওয়াসকে মুক্তি না দিলে তারা ইসরাইলের সামরিক আদালতে হাজিরা দেবেন না।

আবু হাওয়াসের দল ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট জানায়, যতি তিনি অনশনরত অবস্থায় মারা যান তাহলে তারা সামরিক পদক্ষেপ নেবে।

আবু হাওয়াসের জন্য ৫৭টি মুসলিম দেশ নিয়ে গঠিত সংঘটন দি অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো অপারেশনও একটি বিবৃতি দেয়। সংঘটনটি বিবৃতিতে জানায়, আবু হাওয়াসের জীবন নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন।

অনশনের মাধ্যমে ইসরাইলের বন্দিদশা থেকে আবু হাওয়াসের মুক্তির বিষয়টিকে বিজয় হিসেবে দেখছে ফিলিস্তিনিরা। তাকে মুক্তি দেয়া হবে এ খবর জানার পর অনেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

পাঁচ সন্তানের জনক ৪০ বছর বয়সী আবু হাওয়াস তার জীবনের আট বছরই কাটিয়েছেন জেলে।  এর মধ্যে প্রায় চার বছর তাকে আটকে রাখা হয়েছে অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশন আইনে।  শুধু আবু হাওয়াস নয়। এই কালো আইনের প্রতিবাদে অনেক বন্দিই অনশন করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছেন।

 

সূত্রঃ যুগান্তর

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক