হ্যারি-মেগানের বিয়ের গল্প করলেই জরিমানা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের প্রিন্স হ্যারির বিয়ে নিয়ে সাবেক ঔপনিবেশিক দেশগুলোতেও তুমুল আলোচনা চলছে।

বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ টেলিভিশন ও ইন্টারনেটে হ্যারি ও মেগান মার্কলের বিয়ের অনুষ্ঠান লাইভ দেখেছে।

কিন্তু খোদ যুক্তরাজ্যের একটি হোটেলের পাবে এই রাজকীয় বিয়ে নিয়ে আলোচনা নিষিদ্ধ করা হয়। এমনটি করলে জরিমানা করা হবে বলেও নোটিশ টানানো হয়েছে।

শনিবার যুক্তরাজ্যের ডার্বির আলেকজান্দ্রা হোটেলের পাবে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, পাবের স্বত্বাধিকারী অ্যানা জেইসন এজের এমন কাজের ঘটনা এবারই প্রথম নয়।

এর আগে ২০১১ সালে প্রিন্স উইলিয়াম ও ক্যাথরিনের বিয়ের দিনও জরিমানা করেছিলেন৷

ওই সময় যারা অ্যানার পাবে এসে ওই বিয়ে নিয়ে আলোচনাকারীদের প্রত্যেককে জরিমানা করা হয়েছিল৷ তখন ৪০০ পাউন্ড জমা হয়েছিল।

এবারও একই কাজ করেছেন তিনি। পাবের চারদিকে হ্যারি ও মেগানের মুখের ছবিসংবলিত পোস্টার ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে৷

পোস্টারে লেখা হয়- ‘রয়্যাল ওয়েডিং ফ্রি জোন!(রাজকীয় বিবাহমুক্ত এলাকা!) দয়া করে রাজকীয় বিয়ের আলোচনা থেকে বিরত থাকুন৷ আমরা এতে আগ্রহী নই৷ তার থেকে বিয়ার নিয়ে আলোচনা করুন বা আবহাওয়া নিয়ে কিংবা অন্য কোনো মজাদার বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন৷’

এ ছাড়া বলা হয়, যদি কেউ আলোচনা করতেই চান তা হলে পাশে রাখা বাক্সে জরিমানার টাকা ফেলে আলোচনা করতে হবে৷ সেই টাকা পাঠানো হবে রয়্যাল ডার্বি হাসপাতালের নাইটিংগেল ক্যান্সার ইউনিটে৷

অ্যানা বলেন, আমরা উইলিয়াম ও কেটের বিয়ের সময়ও তাদের নিয়ে আলোচনা নিষিদ্ধ করেছিলাম। তখন ফান্ড জমা হয়েছিল ৪০০ পাউন্ড৷

তিনি জানান, এই নিয়ম যারা নিয়মিত পাবে আসেন তাদের জন্য নয়। যারা প্রথমবার পাবে আসেন শুধু তাদেরই জরিমানা করা হয়।

অ্যানা বলেন, নিয়মিত খদ্দেররা অভিযোগ করেন রাজকীয় বিয়ের আলোচনা শুনতে শুনতে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এ জন্য তারা জরিমানা করার বুদ্ধি দেন।

নিজের পাবে রাজপরিবারের রাজকীয় বিয়ের আলোচনা বন্ধ করলেও পাবের অ্যানা জানান তিনি রাজপরিবারের বিপক্ষে নন৷

বরং সমাজসেবার অর্থ জোগাড় করতেই জরিমানা করার সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।