‘হ্যাব্বি জাড় ল্যাগছে’

শাহিনুল ইসলাম আশিক:

‘ক-দিন থেকি হ্যাব্বি ঠাণ্ডা পড়ছে যে। ঘরে বাইরে সব জাগাতেই ঠাণ্ডা। কতু (কোথাও) ঠিক মুতো (মতো) এক দণ্ড থাকা য্যাছে না (যাচ্ছে না)। ঠাণ্ডা তো আছে, এর সাথে বাতাস হচে (হচ্ছে)। কি করবো, খ্যাতে (খেতে) তো হবেই। বসি (বোসে) থাকলে তো আর খ্যাতে (খেতে) পাওয়া যাবে না। এ ঠাণ্ডার মধ্যেই চলি আসনু (চলে আসলাম) কাজের জন্যে (জন্য)।’

রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নগরীর শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বরে কাজের অপেক্ষায় বসে থাকা টাঙ্গন এলাকার আবদুর রশিদ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কি বুলবো (বলবো) রে বা। ভোরে কুয়াশা ভ্যাঙ্গি (ভেঙে) এখিনে (এখানে) আসিছি (এসেছি)। এ আবহাওয়াতে মালিকেরা তেমন কাজ করাছে (করাচ্ছে) না। কাজ করলে দুই পয়সা হয়। কাজ না করলে তো এ ট্যাকাও (টাকা) পাবো না। এখিনে হ্যাব্বি (খুব) জাড় শীত ল্যাগছে (লাগছে) যে। খুলা জায়গা (খোলা স্থান) হু-হু করি (করে) বাতাস লাগছে (লাগে)। বাতাসে ক্যাঁপছে ধড়া দিছে (দিচ্ছে)। বসি (বসে) আর থ্যাকতে (থাকতে) প্যারছিনি (পারছিনা) রে-বা।’

এসময় কথা হয় আবদু সালামের সঙ্গে তিনি বলেন, এই ঠাণ্ডায় কাজ করতে মুন (মন) চ্যাচ্ছে (চাচ্ছে) না। কিন্তু কাজ না করলে খ্যাতে (খেতে) দিবে ক্যাডা (দেবে কে)। তাই কষ্ট করি (করে) হলেও কাজ করতে হবে। কিন্তু ঠাণ্ডার জ্বালায় হাত-পা ক্যাঁপছে।

 

স/আ