বুধবার , ১৩ মে ২০২০ | ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

হোয়াইট হাউসে করোনার হানা তবু দমতে রাজি নন ট্রাম্প

Paris
মে ১৩, ২০২০ ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাস এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তরে হানা দিয়েছে। কিন্তু তাতেও নিরস্ত হতে রাজি নন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি লকডাউন শিথিল করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করতেই বেশি আগ্রহী।

বৈশ্বিক মহামারিতে সবচেয়ে বেশি উপদ্রুত যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ছুঁই ছুঁই করছে। মারা গেছে ৮১ হাজার ৭৯৫ জন। এর মধ্যে হোয়াইট হাউসেও ঘটেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। গত কয়েক দিনে সেখানে তিনজনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। তাঁরা হলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পোশাক-পরিচ্ছদ বিষয়ক এক কর্মী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস সেক্রেটারি এবং হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান। ওই তিনজনের দেহে সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পর টাস্কফোর্সের তিন সদস্য কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

হোয়াইট হাউসে যাঁরা এখনো কাজ করছেন, তাঁরাও ভীতসন্ত্রস্ত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঊর্ধ্বতন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট সিবিএস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কাজে যেতে ভয় লাগে। ওয়েস্ট উইংয়ে (হোয়াইট হাউসের যে অংশে প্রেসিডেন্ট দাপ্তরিক কাজ করেন) যদি পৃথিবীর সব রকম পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকে, পৃথিবীর সেরা চিকিৎসকদল থাকে, তবুও গাদাগাদি করা ওই জায়গায় যাওয়ার চেয়ে নিজের ঘরে বসেই আমি বেশি নিরাপদ থাকব।’

হোয়াইট হাউসের এ কর্মকর্তার উদ্বেগের কারণটাও সংগত। বিভিন্ন চলচ্চিত্রে কিংবা টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে ওয়েস্ট উইংকে বেশ প্রশস্ত জায়গা হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও কার্যত চিত্রটা ভিন্ন। সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ওয়েস্ট উইংয়ের পরিসর এমন যে মহামারি পরিস্থিতিতে সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই দায়।

এ অবস্থায় হোয়াইট হাউসে গত সোমবার জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, ওয়েস্ট উইংয়ে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। তবে কর্মীরা যাঁর যাঁর ডেস্কে বসে থাকা অবস্থায় মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করা হয়। হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়া সংবাদকর্মীদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি প্রবেশপথে তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নিজে অবশ্য কখনোই মাস্ক ব্যবহার করেন না।

মহামারির কারণে খোদ হোয়াইট হাউসের দমবন্ধ পরিস্থিতি সত্ত্বেও দমে যেতে রাজি নন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত সোমবার এক টুইটবার্তায় তিনি লেখেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরো ভালো মনে হচ্ছে, সব জায়গায় (আক্রান্ত ও মৃতের) সংখ্যা কমছে। বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে!’

পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী নভেম্বরে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া ট্রাম্প দেশের অর্থনীতি সচল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ কারণেই তিনি মহামারির প্রকৃত পরিস্থিতি উপেক্ষা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে যারা লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ করছে, তাদেরও সমর্থন দিচ্ছেন ট্রাম্প।

মহামারি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ভূমিকার সমালোচনা করে গত সপ্তাহে তাঁর পূর্বসূরি বারাক ওবামা সমর্থকদের সঙ্গে এক কনফারেন্স কলে বলেন, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড চরম বিশৃঙ্খল বিপর্যয়কর।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক