হেরেও ঝুলে রইল রাজশাহী

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কাছে ৩৬ রানে হেরেছে মিনিস্টার রাজশাহী। এই হারে তাদের জন্য প্লে-অফ কঠিন হয়ে গেল। ৮ ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে রাজশাহী। তাদের সঙ্গে প্লে-অফের দৌঁড়ে আছে ফরচুন বরিশাল। আজ বিকেলের ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে হারালেই তারা প্লে অফে খেলবে। তবে যদি তামিমরা হেরে যায়, তাহলে রাজশাহীর সঙ্গে তাদের পয়েন্ট সমানই থাকবে। তখন রানরেটের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে প্লে অফের শেষ দল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে চট্টগ্রামকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজশাহী। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৯ রান করে ম্যাচ হারে রাজশাহী। ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। ১২তম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে দলের স্কোর শতরানে নিয়ে যান লিটন। ১৩তম ওভারে ৪০ বলে এবারের আসরে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন সৌম্য।

১৪তম ওভারের প্রথম বলে চলতি আসরে তৃতীয়বারের হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান লিটন (৩৮ বলে)। ওই ওভারেই ৪৮ বলে ৬৩ রান করে সৌম্য আউট হলে ভাঙে ১২২ রানের ওপেনিং জুটি। পরের ওভারে বিদায় নেন লিটন। ডান-হাতি পেসার রেজাউর রহমান রেজা বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি ৪৩ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৫৫ রান। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর চট্টগ্রামের ইনিংসের ২৭ বল বাকী ছিল।শেষ দিকে দ্রুত রান তুলে রাজশাহীকে বড় সংগ্রহ এনে দেন শামসুর রহমান (১৮ বলে ৩০*)।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামের অফ-স্পিনার নাহিদুল ইসলামের ঘুর্ণিতে রাজশাহীর টপ-অর্ডার দিশেহারা হয়ে পড়ে। পাওয়ার প্লেতে ৩৩ রানেই তাদের ৩ উইকেট নাই হয়ে যায়। দুই ওপেনার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১১, ইমন ৪ ও রনি তালুকদার ১৬ রান করে নাহিদুলের শিকার হন।  এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ফজলে মাহমুদ ও নুরুল হাসান। দলকে ৬৯ রানে পৌঁছে দিয়ে তারা বিচ্ছিন্ন হন। ১৯ রান করা ফজলে মাহমুদকে থামান বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান।

এরপর নুরুলের সাথে জুটি বেঁধে মারমুখী হয়ে উঠেন হার্ড-হিটার মেহেদি হাসান। ৩টি ছক্কা মেরে ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন; কিন্তু বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলামের বলে ১৭ বলে ২৬ রান করা মেহেদির ইনিংস শেষ হয়। পরের দিকে নুরুল ২৮ ও অল-রাউন্ডার সাইফউদ্দিন ৯ রানে আউট হলে রাজশাহীর হার নিশ্চিত হয়ে যায়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৯ রান পর্যন্ত যেতে পারে তারা। চট্টগ্রামের নাহিদুল ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ