হুয়াওয়ে নিয়ে যুক্তরাজ্যকে চীনের হুঁশিয়ারি

ব্রিটিশ সরকার দেশটির ৫জি নেটওয়ার্ক থেকে হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ নিষিদ্ধের যে ঘোষণা মঙ্গলবার দিয়েছে সেই সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন’ এই নিষেধাজ্ঞার ‘তীব্র বিরোধিতার’ কথা জানিয়েছে বেইজিং কর্তৃপক্ষ। বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং বলেছেন, বেইজিং চীনা কোম্পানির ‘বৈধ স্বার্থ’ রক্ষার জন্য ‘ব্যবস্থা গ্রহণ করবে’। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুয়াওয়ে নিষিদ্ধ করার ব্রিটিশ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের চাপেই জানুয়ারিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত থেকে যুক্তরাজ্য সরে আসলো বলে গুঞ্জন আছে।

গত জানুয়ারিতে ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, দেশের ৫জি বাজার শেয়ারের ৩৫ শতাংশ হুয়াওয়ের অধীনে থাকবে এবং মূল নেটওয়ার্কের প্রধান অংশে হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করবে না। তবে যুক্তরাজ্যের এমন সিদ্ধান্তে নাখোশ হয় ওয়াশিংটন। মিত্র যুক্তরাজ্যের কাছে ট্রাম্প প্রশাসনের চাওয়া ছিল হুয়াওয়ে নিষিদ্ধ করা।

মঙ্গলবার বিকেলে ব্রিটিশ ডিজিটাল মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন পার্লামেন্ট বলেন, চলতি বছরের শেষ (৩১ ডিসেম্বর) থেকেই টেলিকম অপারেটররা আর হুয়াওয়ের কাছ থেকে যন্ত্রাংশ কিনতে পারবে না। এছাড়া হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ যুক্তরাজ্যের ৫জি নেটওয়ার্ক থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে সরাতে হবে বলে জানান তিনি।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এই ঘোষণার পর সবার আগে হালকা হুঁশিয়ারি দিয়ে এর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আপনাদের এই সিদ্ধান্ত শুধু হতাশাজনক নয় এটা হৃদয়বিদারকও। আপনারা (যুক্তরাজ্য) হুয়াওয়ের সঙ্গে যে আচরণ করছেন এটা কিন্তু চীনের অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’

তার এমন বক্তব্যের পর এর প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও কঠোর ভাষা ব্যবহার করে। মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ নিয়ে তাদের সহযোগিতা করার অজুহাতে ভিত্তিহীন ঝুঁকির পথ বেছে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্য তাদের দেওয়া প্রাসঙ্গিক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে।’

বুধবার ব্রিটিশ সরকারের ওই ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বলেন, ‘আমরা অনেক অনেক দেশকে দেশকে বিষয়টি বুঝিয়েছি। বেশিরভাগ কাজটা আমি নিজে করেছি; কারণ আমরা মনে করি, এটি (হুয়াওয়ে) আমাদের সবার জন্য একটি অনিরাপদ নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে।’