হুঙ্কার দেবেন না, সব ফাঁস হয়ে যাচ্ছে : সেতুমন্ত্রীকে রিজভী

ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এখন নিজেদের ছায়া দেখলেই ভয় পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, হুঙ্কার দিয়ে লাভ নেই। আপনাদের সব জারিজুরি ক্রমাগতভাবে ফাঁস হচ্ছে।

আজ শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, এই ওবায়দুল কাদের সাহেবই যখন তখন দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আাবিস্কারের ঘোষণা দেন এবং মানুষের কাছে তামাশার পাত্র হন। ওবায়দুল কাদেরের হুমকি জুলুমবাজ কর্তৃত্ববাদী শাসনেরই বহিঃপ্রকাশ। ক্ষমতার বেপরোয়া আস্ফালনে ওবায়দুল কাদেরদের বন্ধ্যা আত্মতৃপ্তির কথাকে মানুষ গুরুত্ব দেয় না। আওয়ামী নেতাদের মতো বিচিত্র বহুরুপী মানুষদের কথার কোনো সারবত্তা নেই। শুধু প্রধানমন্ত্রীর পদলেহন করতেই বিরোধী দলের প্রতি ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এই ধরণের হুঙ্কার দিয়ে থাকেন। ৬ মহানগরে সমাবেশ নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে আবারও প্রমাণিত হলো-প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের জন্য যে দলীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং উদার সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রবণতা অপরিহার্য তা আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি।

তিনি বলেন, এদের শাসনামলে ৫০ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। গতবছরও দু’জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন, ৭৮ জনকে মেরে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে, ১৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তাই বিএনপিসহ বিরোধী দলের কোনো সমাবেশের কথা শুনলেই ওবায়দুল কাদের সাহেবদের কাঁপুনি ধরে। কারণ প্যান্ডোরাস বক্স খুলে গিয়ে সকল সত্যগুলো পুনরায় বের হতে থাকবে। সুতরাং সুশাসন নয়, আওয়ামী সরকার সন্ত্রাস বিতরণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

রিজভী বলেন, আপনারা বারবার দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে দেখেছেন-ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গবেষণায় যে প্রকাশ করেছে তাতে স্বৈরতান্ত্রিক বা কর্তৃত্ববাদী শাসনের তালিকায় আছে বাংলাদেশ। গত এক দশক ধরেই বাংলাদেশের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এক দশক ধরেই বাংলাদেশের নিজস্ব ভূমিতে গণতন্ত্রের শিকড় যাতে না গজাতে পারে এজন্য আওয়ামী সরকার সকল শক্তি নিয়োগ করেছে। গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যা ও লাখো লাখো মিথ্যা মামলার ছড়াছড়ি শুধু নয়, বিরোধী দলকে দমণ ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরুদ্ধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নানা কালাকানুন করে অমানবিক নিষ্ঠুরতার সীমাহীন আবর্তের মধ্যে দেশকে ঠেলে দিয়েছে।

এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দী রাখার প্রতিবাদে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী সকল জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

 

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ