হুইল চেয়ারে বসে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন

করোনা শেষে বিশ্ব আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁরাও চলতে চায়। তবে তাঁরা আর পাঁচজন মানুষের মতো স্বাভাবিক নয়, শারীরিক প্রতিবন্ধী। কিন্তু সেই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সবার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে বিশ্বকে জয় করতে চায় তাঁরা।

লাল আর সবুজে ভাগ হয়ে সেই শারীরিক প্রতিবন্ধীরা হুইল চেয়ারে বসে মেতেছে ক্রিকেট ম্যাচে। করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবার বিশ্ব কাঁপানোর নেশায় তাঁরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এ জন্য বেছে নিয়েছে বিজয়ের মাসকে।

আজ শুক্রবার সকালে প্রীতি টি-টুয়েন্টি ম্যাচের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ড্রিম ফর ডিস্অ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের ক্রিকেটাররা। তাঁরা লাল-সবুজের জার্সি গায়ে দিয়ে দুই দলে ভাগ হয়ে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে অংশ নেন। প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে লাল দল ১২ রানে জয়লাভ করে। প্রথমে ব্যাট করতে নামা লাল দলের ১১৬ রানের জবাবে সবুজ দল ১০৪ রান করতে সক্ষম হয়। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন লাল দলের শফিকুল ইসলাম। নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে শিশির ভেজা সকালে এ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার সকালে নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ উদ্বোধন করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান। ক্রিকেট দলের  প্রতিষ্ঠাতা ও ড্রিম ফর ডিস্অ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের সভাপতি হেদায়েতুল আজিজ মুন্নার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফয়েজুর রহমান ফয়েজ।

আয়োজকরা জানান, বুকভরা স্বপ্ন্ আর শারিরীক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে গত বছর এপ্রিল মাসে ত্রি-দেশীয় সিরিজে ভারতের কলকাতায় ভারত ও নেপালকে পরাজিত করে বাংলাদেশের পক্ষে জয় ছিনিয়ে আনা হয়। এখন তাঁদের স্বপ্ন একদিন বিশ্বকাপ জয় করা। করোনা শেষে আবার নতুন করে ক্রিকেট নিয়ে মেতে উঠার আশায় তাঁরা প্রীতি এ ম্যাচের আয়োজন করেন।

সবুজ দলের অধিনায়ক ইমদাদুল আহমেদ খান বলেন, ‘আজকের এই প্রীতি ম্যাচ আমাদের অনুশীলন হিসেবে কাজে আসবে। আমাদের সামনে অনেকে খেলা আছে। সেগুলোতে আমরা ভালো করতে চাই। বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ত্রিদেশীয় সিরিজে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে ছিলাম। আমরা আশা করি আমাদের দেশেও আমরা বিপিএলের মতো ম্যাচ খেলব। তাই এখানে আমরা বিভিন্ন জেলার ক্রিকেটাররা একত্রিত হয়েছি।’

লাল দলের অধিনায়ক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যারা শারিরীক প্রতিবন্ধী আমরা সবাই বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছি। বিজয়ের এই মাসে আমরা লাল দল ও সবুজ দলে ভাগ হয়ে একটি প্রীতি ম্যাচে অংশ গ্রহন করেছি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে  আন্তর্জাতিক মানের ম্যাচ খেলার জন্য আমরা দেশের বাইরে যাব।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ