বৃহস্পতিবার , ১০ ডিসেম্বর ২০২০ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

হিজাবের কারণে আদালতে প্রবেশে বাধা

Paris
ডিসেম্বর ১০, ২০২০ ৩:৩০ অপরাহ্ণ

হিজাব পরিধান করায় টেক্সাসের হালটম সিটির একটি আদালতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি একজন মুসলিম নারীকে। গত মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে যুক্তরাষ্টের টেক্সাস শহরের হালটম সিটি আদালতে টিকেট ফি আদায় করতে গেলে তাঁকে প্রবেশ করতে দেয়নি আদালত কর্তৃপক্ষ। কারণ সে আদালতের নির্দেশনা না মেনে মাথা ঢেকে রেখেছে।

এদিকে ঘটনার পরই দুপুরের দিকে আদলতের বাইরে মাথা ঢাকা বিষয়ে নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স (সিএআইআর)।

পরবর্তীতে উদ্ভূত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে হালটম নগর কর্তৃপক্ষ জানায়, ধর্মীয় বিধান পালন করে মাথা ঢেকে রাখার অনুমোদন দিয়ে আইন পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, ২০১১ সালে কেন্দ্রা মন্টেমায়র ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি একজন মা ও শিক্ষিকা। এমন অপ্রত্যাশীত ঘটনার সম্মুখীন হয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। ফেসুবুক ভিডিওতে তাঁকে আদলত চত্বরে দেখা যায়।

মন্টেমায়র বলেন, ‘আমি এখানে টিকেটের দাম পরিশোধ করতে এসেছি। আমি দ্রুততর কাজ করতে চাইছিলাম। আমাকে যা বলা হয়েছে আমি তা করতে এসেছি। আর আপনি আমাকে তা করতে দেবেন না? সত্যিই?’

আদালত ব্যবস্থাপকের কথার প্রতিবাদ করেন মন্টেমায়র। আদালত ব্যবস্থাপক বলেন, এটি বিচারকের নির্দেশ। মন্টেমায়র বলেন, ‘তিনি আমাকে বললেন, আমি এখানের আসতে পারব না। কারণ আমার মাথায় ঢাকা আছে। তখন আমি বললাম, এটা তো আমার ধর্মীয় অধিকার।’

হালটম নগর ব্যবস্থাপক রেক্স ফেলপস বলেন, ‘মূলত বিচারক নগর আদালতের জন্য কিছু নির্দেশনা প্রকাশ করেন। তিনি সব ধরনের মাথা ঢেকে রাখা নিষেধ করে আইন করেছেন। এটি অন্যান্য নির্দেশনার মতো সাধারণ একটি বিধান। যেমন অন্যান্য আদালতেও ফোন ব্যবহার নিষেধ থাকে।’

ফেলপস আরো বলেন, ‘হিজাবকে ধর্মীয় বিধান হিসেবে সাব্যস্ত করতে পারেন বিচারক। আর তিনি এতে নিজেকে সামঞ্জস্য করা চেষ্টা করতে পারেন।’

মন্টেমায়র বিলম্বে নীতি পরিবর্তন হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এটি আমার প্রথম সংশোধনী অধিকার। আমি এখন আদালতে অবস্থান করছি। এসব বিষয় আপনাদের জানা জরুরি ছিল।

নগর ব্যবস্থাপক ফেলপস বলেন, ‘ধর্মীয় পোশাক নিষেধাজ্ঞার বাইরে রেখে বিচারক তাদের নীতি পরিবর্তন করেছেন। আর বেলিফকে পরিবর্তন বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।’

ফেলপস বলেন, আমি মনে করি, বিষয়টির সমাধান হয়েছে। এমন বিধানের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি যার কারণে প্রথমে অনেক নাগরিক আদলত ভবনে উপস্থিত হতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। আর বিচারকরা যা নির্দেশ করবেন তাই পালন করবে বালিফরা।

মন্টেমায়র বলেন, ‘তারা নিয়ম-নীতি পরিবর্তন করলে তো খুবই ভালো। তবে দুঃখজনক বিষয় হলো আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়নি। কারণ মুসলিমরা এখনও নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।’

হালটোম নগর কর্তৃপক্ষ নিজেদের নীতি পরিবর্তন করায় আনন্দ প্রকাশ করে সিএআইআর-এর প্রধান নির্বাহী ফাইজান সাইয়েদ বলেন, তবে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা যারা নিজেদের মাতা ঢেকে রাখে তারা নগরের অন্যান্য আদালতে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। কারণ তারা এখনও মাথার ঢেকে রাখার অনুমোদন দেয়নি।

সাইয়েদ আরো জানান, মন্টেমায়র সত্যিই যথেষ্ট সাহসী। তার ঘটনার মধ্য দিয়ে আদালতের নীতি পরিবর্তন হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা যে তাকে আদলত কক্ষে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক