হাসপাতালে মৃত স্ত্রীকে ফেলে পালালেন স্বামী!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: পাবনার ঈশ্বরদীতে যৌতুক না পেয়ে সীমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করার হাসপাতালে মরদেহ ফেলে পালিয়েছেন ঘাতক স্বামী আবু রায়হান রাজেশ (৩১)।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূ ঈশ্বরদী শহরের শৈলপাড়া এলাকার মাছবিক্রেতা নূর আলীর মেয়ে। ঘাতক আবু রায়হান ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীর বাঘইল এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।

ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সীমাকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন তার স্বামী আবু রায়হান। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে সীমাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই তার স্বামী আবু রায়হান সেখান থেকে সটকে পড়েন। তার গলার চার পাশে দাগ ছিলো। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে কাউকে না পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

সীমার মামাতো ভাই রনি বাংলানিউজকে জানান, রাত আটটায় আবু রায়হানের এক প্রতিবেশীর কাছে বোনের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তিনি। তিনি একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।

তার অভিযোগ, যৌতুকের জন্য সীমাকে অত্যাচার চালাতেন আবু রায়হান। বিয়ের সময় আবু রায়হান ১ লাখ ১০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়েছিলেন। তাকে পরে কিছু টাকা দেওয়ার কথা ছিলো। টাকার অভাবে তা দিতে পারেননি। টাকার জন্য সীমার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন আবু রায়হান। আমার বোন লজ্জায় তা জানাতে চাইতো না।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে সীমার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়। তার গলার চারপাশে গোলাকার দাগ দেখা যায়। সকালে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

এ ব্যাপারে ইউডি মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী।