হাসপাতালের বারান্দায় ডায়রিয়া রোগী, সময়মতো মিলছে না চিকিৎসক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

গাইবান্ধায় আবারো বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। শিশু ও বয়স্করা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। ফলে জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপ। শয্যা খালি না থাকায় মেঝে এবং বারান্দায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে সময় মতো চিকিৎসক না পাওয়ার অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে দুই শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। সোমবার ডায়রিয়া আক্রান্ত ৩৬ রোগী ভর্তি হয়। আক্রান্তদের মধ্যে বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের সংখ্যা বেশি। ২০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে একটি শয্যাও খালি নেই। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

jagonews24

সরেজমিনে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ওয়ার্ডে একটি শয্যা নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। বাকি শয্যাগুলো রোগীতে ভর্তি। অতিরিক্ত রোগীদের মেঝে এবং বারান্দায় চিকিৎসা চলছে।

গাইবান্ধা সদরের দারিয়াপুরের সুমি বেগম তার সাত মাস বয়সী শিশুকে কোলে নিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসকের অপেক্ষায় বসে আছেন। কিন্তু সকাল থেকে থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষার পরও চিকিৎসক না আসায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

সুমি বলেন, ‘আমি শিশু নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও ডাক্তারের দেখা মিলছে না। আমরা গরীব বলে আমাদের চিকিৎসায় এতো অবহেলা।’

jagonews24

মর্জিনা বেগম (৪৬) নামের এক রোগী বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে অবহেলায় পড়ে আছি। হাসপাতালের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়াই ভালো ছিল। আমরা এর প্রতিকার চাই।’

রোগীর স্বজন সাগরিকা আক্তার বলেন, ‘ঠান্ডার কারণে আমার শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর নার্স এসেছে দেখে গেছেন। দুপুর পর্যন্ত কোনো ডাক্তার আসেনি।’

সময় মতো চিকিৎসক মিলছে না এমন অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে রোগীর চাপ বেশি হলেও স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি নেই। তবে জনবলের অভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে।’

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ