হাবিবের রাত্রির যাত্রী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

অনেক নির্মাতা যখন চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখছে, তখন নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব নির্মান করেছেন রাত্রির যাত্রী নামে একটি সিনেমা। যা মুক্তির আগে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। হাবিবুর রহমান হাবিব একজন সাংস্কৃতিক কর্মী, নাট্যনির্মাতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি দেশের প্রাণ হচ্ছে গ্রাম, গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সিনেমা।

তারা সারাসপ্তাহ কাজ শেষে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বিনোদন পেতে চায়। গ্রামের মানুষের এই চাহিদা সামনে রেখেই আমি চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি। তিনি বলেন, রাত্রির যাত্রী সিমেনাটি সর্বস্তরের দর্শকের বিনোদনের একটি উপলক্ষ্য হবে এটা আমার বিশ্বাস। সিনেমা প্রেমী মানুষ যে ধরণের সিনেমা প্রত্যাশা করে আশা করি, রাত্রীর যাত্রীর মাধ্যমে তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হবে।

এজন্য দেশের সিনেমা প্রেমীদের সহ-পরিবারে হলে এসে সিনেমাটি দেখার জন্য আহবান করছি। হাবিবুল ইসলাম হাবিব আশির দশকের শুরুতে ‘প্রেক্ষাপট’ নাট্যদল নিয়ে নাট্যাঙ্গনে জড়িত হনয়। পরিচালনা করেন বহুল আলোচিত মঞ্চনাটক ইদানীং তিনি ভদ্রলোক, খাঁটি মীরজাফরের বাচ্চা, ব্যারিকেড চারিদিক, সারাদিন পর, উল্টারাত পাল্টাদিন ইত্যাদি। তার নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ভদ্রলোক খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তিনি শুধু মঞ্চে থেমে থাকেননি। বানিয়েছিলেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বখাটে ও বিজয় নব্বই।

পাশাপাশি প্যাকেজ নাটকের আন্দোলন, সম্মিলিত জোট গঠনের আন্দোলন, শর্ট ফিল্ম মুভমেন্টসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশে একশান থ্রীলার ড্রামার রূপকার তিনি। তার হাতে নির্মিত হয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নাটক, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীকে নিয়ে থিম সং ও টিভি ফিলার। চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও টিভিতে তার সান্নিধ্যে এসে অনেকেই আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। প্রথমবারের মতো তিনি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। শিঘ্রই এটি সেন্সরে জমা দেয়া হবে। এতে অভিনয় করেছেন মৌসুমী, সালাহ উদ্দিন লাভলু ও আনিসুর রহমান মিলন, সম্রাট, এটিএম এটিএম শামসুজ্জামান, শহিদুল আলম সাচ্চু, নায়লা নাঈম, মারজুক রাসেল, অরুণা বিশ্বাস, সাদিয়া আরেফিন, রেবেকা সুলতানা, শিমুল খান, মুক্তা হাসান, জিয়া তালুকদার, সোনিয়া হোসেন, ইকবাল হাসান, শিমুল মোস্তফা, আনান জামান, ম আ সালাম, আশরাফ কবির, কালা আজিজ, চিকন আলীসহ আরো অনেকে।