হলিউডে বছরসেরা দশ ছবি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি হলিউড। বছরজুড়ে মুক্তিপ্রাপ্ত হলিপাড়ার সিনেমা নিয়েও দর্শকের আগ্রহের কমতি নেই। প্রিয় তারকাদের ছবির খবরাখবর জানতে ভক্তমনে তৈরি হয় নানা কৌতূহল।

মার্কিন ম্যাগাজিন ভ্যারাইটি জরিপে হলিপাড়ায় চলতি বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত সেরা দশ ছবি নিয়ে রয়েছে এ প্রতিবেদন।

হলিউডের বছরসেরা দশ ছবির মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ‘রোমা’। ১৯৭০ সালের মেক্সিকোতে ভয়াবহ দাঙ্গায় টিকে থাকা এক মেক্সিকান পরিবারের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে এ ছবিটি।

‘লিভ নো ট্রেস’ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এ ছবিতে জীবনকে বোঝার মতো এমন কিছু উপলব্ধি রয়েছে, যা এটিকে দ্বিতীয় সেরার মর্যাদা এনে দিয়েছে। তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘ক্যান ইউ এভার ফরগিভ মি’।

একজন শিল্পীর একাকিত্ব গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে এ ছবি। সৃজনশীল কাজও মানুষকে পরিপূর্ণ বিনোদন দিতে পারে সেটাই এ ছবির মূল উপজীব্য। প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়াই কোনো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উচ্চ কোনো কিছুতে আরোহণের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ফ্রি সলো’। বাণিজ্যিক দিক দিয়ে এটি হলিউডের বছরসেরা চতুর্থ ছবি।

এর পরই পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ‘শফলিফটারস’। এটি একটি কমেডিধর্মী ফ্যামিলি ড্রামা। কান উৎসবেও প্রশংসিত হয়েছে ছবিটি। তালিকার ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে ‘দ্য ফেভারিট’। আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের একগুচ্ছ ঘটনার আবর্তনে নির্মিত হয়েছে এ ছবি।

হলিউডসেরা নায়ক টম ক্রুজ কিন্তু এ বছর সেরা হতে পারেননি। তার অভিনীত ‘মিশন ইম্পসিবল : ফল আউট’ ছবিটি রয়েছে তালিকার সপ্তম স্থানে। এমনিতে এমআই সিরিজের সব ক’টি ছবিই ব্যবসা সফল।

তবে এবারের ছবিটি আগের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’ রয়েছে অষ্টম অবস্থানে। রোমান্টিক ঘরানার ছবি এটি। একজন তারকার জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এ ছবি।

সাধারণ ঘরে জন্মগ্রহণ করেও একজন মানুষের অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে ‘হ্যাপি এজ লাজ্জারু’। সেরা দশ বিচারে হলিউডে নবম অবস্থানে রয়েছে এটি। সেরা দশের সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে ‘মাম্মা মিয়া! হেয়ার উই গো এগেইন’। ২০০৮ সালে হলিউডের ব্লকবাস্টার ছিল এ ছবির আগের সিক্যুয়াল।