হতাহত ছাড়াই পারমাণবিক কেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্রটির আগুন নিয়্ন্ত্রণে নিয়ে আসার দাবি করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসাকে সবার জন্য স্বস্তি বলেছে কর্তৃপক্ষ।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবাগুলো তাদের ফেসবুক পেজে নিশ্চিত করেছে, স্থানীয় সময় প্রায় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। এক ঘণ্টা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে দমকল বাহিনী।

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ২টা ৩০ মিনেটের দিকে রুশ হামলায় পারমাণবিক কেন্দ্রটিতে আগুন লেগে যায়। তখন আশঙ্কা করা হচ্ছিল, আগুন দ্রুত নেভানো না গেলে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।

ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবাগুলোও প্রথমে অভিযোগ করেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে গেলে বাধা দিয়েছে রুশ বাহিনী। পরে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভিয়েছে।

পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় রাশিয়ার নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশ। ইউক্রেনে অবিলম্বে রুশ আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।   ‘অবিলম্বে হামলা বন্ধ’ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে রুশ হামলায় আগুন লাগার ঘটনায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথাও বলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

জাস্টিন ট্রুডো এক টুইট বার্তায় বলেছেন, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় (কানাডার) অর্থমন্ত্রী এবং আমি এইমাত্র প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বললাম।

জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনায় ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু সমস্যা মোকাবেলা টিমকে সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন জ্বালানি মন্ত্রী জেনিফার গ্র্যানহোম।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও কথা হয়েছে। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ, জার্মানি এবং পোল্যান্ডের নেতাদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ