সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
হঠাৎ করে সন্ধ্যার পর থেকে শীত জেঁকে বসেছে। রাত থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায়। প্রথম শীতের রাতে হঠাৎ দুর্ভোগে পড়েছে অনেকে। সন্ধ্যার আগে যারা গরম কাপড় পরে বের হয়েছিলেন তারা শীতের তীব্রতা বৃদ্ধিতে কষ্টে পড়েন। বিশেষ করে দিনমজুররা।
রাত ৯টার পর থেকে বাজারহাট থেকে দ্রুত মানুষজন বাড়িতে ফিরেছেন। রাস্তাঘাটে লোকজন চলাচল কম। যানবাহনও চলাচল কমে গেছে। অনেকেই বলছেন এটা প্রচণ্ড শীতের বার্তা। আগামী দিনগুলো আরো কষ্ট যাবে। এমন শীতের কারণে নানা রোগব্যাধি বিশেষ করে করোনার ঝূ্ঁকি বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
সিলেট বিভাগের মধ্য কমলগঞ্জ শীতপ্রবণ এলাকা। নভেম্বরের শেষ দিকে ঠাণ্ডা বাতাস বইতে শুরু করলেও আগাম শীত জেঁকে বসেছে বৃহস্পতিবার থেকে। দিনে গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যায় চিত্র পাল্টে যায়। সারা উপজেলায় প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশা দেখা দেয়। শীতের কারণে সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাট ও বাজারে মানুষের চলাচল কমে আসে। বিশেষ করে পৌরসভার ভানুগাছ বাজার, সমসেরনগর,ইসলামপুর, মুন্সিবাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজার ও রাস্তাঘাটে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে আসে।
পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হৃদয় ইসলাম বলেন, বিকেলে একটা জরুরি কাজে শ্রীমঙ্গল গিয়েছিলাম সাধারণ কাপড় পরে। কিন্তু ফেরার পথে তীব্র শীত ও কুয়াশা অনুভূত হয়। কোনোমতে বাসায় এসে আবার শীতের কাপড় পরে বের হয়েছি।
কমলগঞ্জ থানার সামনে নাজিম আহমেদ নামের এক দোকানদার বলেন, রাতে ঠাণ্ডা পড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে মানুষের আনাগোনা তেমন একটা নেই। হঠাৎ শীত পড়ায় হয়তো ঘর হতে বের হয়নি লোকজন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস জানায়, নভেম্বর মাসে এমনিতেই শীত পড়ে। তাই আগাম শীতের বার্তা হিসেবে এ শীত পড়ছে। সন্ধ্যায় ১৯ ডিগ্রি ছিল। রাতে আরো তাপমাত্রা কমবে।
সূত্র: কালেরকন্ঠ