হংকংয়ে গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনকারী ৭ জনের কারাদণ্ড

সাবেক এক আইনপ্রণেতাসহ হংকংয়ে গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনকারী সাতজনকে ১২ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গত বছর চীনের জাতীয় নিরাপত্তার আইন ভঙ্গ করে বিক্ষোভ করার অভিযোগে এ রায় দিয়েছেন আদালত। খবর বিবিসির।

অবৈধভাবে ২০২০ সালের ১ জুলাই আন্দোলন-সমাবেশ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তারা। ওই আন্দোলনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী গণতন্ত্রের দাবিতে রাস্তায় নামে। করোনা মহামারির মধ্যে আন্দোলন সমাবেশ নিষিদ্ধ এমন অভিযোগ এনে সেসময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের জলকামান দিয়ে ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

অভিযুক্তরা হলেন ফিগো চ্যান, সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্টের ( সিএইচআরএফ) সাবেক নেতা, স্যাং কিন-শিং, লিগ অব সোস্যাল ডেমোক্রেটসের ত্যাং সায়ে-লায়ে, সাবেক জেলা কাউন্সিলর অ্যান্ডি চিউই, সাবেক সংসদ সদস্য উই চি-ওয়াই, ইডি চু এবং লিয়াং ওক-হ্যাং। ফিগো চ্যানকে ১২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং অন্যদের সাজা হয়েছে ছয় থেকে ১০ মাস পর্যন্ত।

২০২০ সালে চীন বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাস করার পর থেকে একশো জনের বেশি মানুষকে আটক করা হয়। এর আগেও এই আইনের আওতায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এই আইনের ফলে চীনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও নগরীর স্বাধীনতার জন্য হুমকি অভিযোগ আছে আগে থেকেই।

বিতর্কিত এই আইনে কর্তৃপক্ষকে অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন ও বিচ্ছিন্নতাবাদে বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক নিষিদ্ধ করা হয়। একই সঙ্গে কেউ এ ধরনের অপরাধে যুক্ত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

হংকং চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এই অঞ্চলটি এক সময় যুক্তরাজ্যের একটি উপনিবেশ ছিল। ১৯৯৭ সালে চুক্তির মাধ্যমে হংকংকে চীনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই চুক্তিতে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়। হংকং এক দেশ, দুই নীতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। চুক্তি অনুসারে হংকংয়ে আলাদা বিচার বিভাগ, আইনসভা ও নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ