বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘার পরিমল কুমার ঘোষ (৩৫) নামের এক যুবক রাজবাড়ীতে সড়ক দূর্ঘনায় নিহত হয়েছেন। রোববার (২২ মে) দুপুরে রাজবাড়ী হাসপাতাল এলাকায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ী হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. মামুন হোসেন। পরিমল কুমার ঘোষ বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের নুরনগর খয়েরমিল গ্রামের মৃত যুগোল ঘোষের ছেলে।
জানা গেছে, পরিমল কুমার ঘোষ কমিউটার ট্রেনে রাজশাহীতে যাবে বলে বাড়ি থেকে সোমবার (১৭ মে) সকাল ৮টার দিকে বের হয়। রাজশাহীতে থাকবে বলেও বাড়িতে জানান। কিন্তু কিভাবে দূর্ঘটনা ঘটেছে এবং কি কারণে রাজবাড়ীতে গিয়েছিল, পরিবারের পক্ষ থেকে কিছুই জানাতে পারেনি। তবে এক মাধ্যমে জানতে পেরেছেন পরিমল রোববার দুপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তার লাশ রাজবাড়ী হাসপাতালে পড়ে আছে।
এওলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরিমলের বাবা-মা বেশ কয়েক বছর আগে মারা গেছে। তিন ভাই এর মধ্যে পরিমল ছিল ছোট। মেজো ভাইও কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। বড় ভাই তাপস কুমার ঘোষের কাছে থাকতেন পরিমল। বড় ভাই এর সাংসারিক অবস্থাও তেমন ভালোনা। গ্রাম থেকে রাজশাহী শহরে ঘী বিক্রি করে তাদের সংসার চলে। দিন আনে দিন খায়। হাসপাতালে লাশ পড়ে আছে। এমন অর্থ নেই যে রাজবাড়ী থেকে লাশ আনবে।
আরো জানা যায়, পরিমল কুমার ঘোষ কয়েক বছর আগে এক সম্ভান্ত পরিবারে বিয়ে করেছিল। তারপর ঢাকায় থাকতেন। তার কোন অর্থ না থাকায় তারা আলাদা হয়ে গেছে। তার স্ত্রী ফিরে আসবে বলে অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু স্ত্রী ফিরে না আসায় নিজ বাড়িতে চলে আসে। বড় ভাই তাপসের কাছে থাকতো। বিয়ে করলেও কোন সন্তান নেই।
পরিমলের ভাই তাপস ঘোষের কাছে বিকেল ৪টা ১৭ মিনিটে ০১৭৪৮-১১৩৭৫৬ নম্বরে ফোন করা হলে তার স্ত্রী লক্ষী রানী ঘোষ ফোন ধরে বলেন, শুনেছি আমার দেবর সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে। আমার স্বামী পাড়ার মধ্যে গেছে বিষয়টি জানাতে। লাশ আনতে যাবেন কী? জবাবে বলেন, এখন কি করবে জানিনা। অর্থের অভাবে কিভাবে লাশ আনবো বলতে পারছিনা। তবে সমাজের কোন বিত্তবান ব্যাক্তি যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত তাহলে ভালো হতো।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. মামুন হোসেন বলেন, লাশের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ গ্রহণ না করলে আঞ্জুমান সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লাশ বর্তমানেহাসপাতালে পড়ে আছে।
এস/আই