স্মার্ট সিটি গড়তে প্রয়োজন প্রযুক্তির সমতা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

স্মার্ট সিটি বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোন পার্থক্য রাখা যাবে না। স্মার্টসিটি প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত ইন্টারনেট ও অন্যান্য প্রযুক্তিকে সবখানে ছড়িয়ে দেয়া।

ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত ‘অ্যাসোসিও স্মার্ট সিটি সামিটে’ অংশগ্রহণ শেষে ফিরে এমন কথা জানালেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রতিনিধি দল।

সম্মেলন পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তরা বলেন, ভিয়েতনাম তথ্যপ্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গেছে। কারণ, তারা একটা পরিকল্পিত লক্ষ্য নিয়ে বেশ কয়েক বছর কাজে করে আসছে। তাদের অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে সুইডেন।

অ্যাসোসিও স্মার্ট সিটি সামিটের মেয়র’স টক সেশনে অংশ নিয়েছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ভিয়েতনাম যদি আগাতে পারে আমরা কেন পারবো না। তাদেরকে আমি ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করেছি। প্রযুক্তির ব্যবহারে শহর গ্রাম যে বদলে যাচ্ছে সেটাও জানিয়েছি।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন বলেন, রাজধানীকে স্মার্ট সিটি হিসেবে ঘোষণার ক্ষেত্রে আমরা অগ্রগামী। আজ থেকে পাঁচ বছর আগেও যে ব্যাপারগুলো অকল্পনীয় ছিল, তাই এখন ঢাকা শহরে দৃশ্যমান। উন্নত দেশে শহরগুলোকে স্মার্ট করার জন্য যে প্রকল্পগুলো তারা হাতে নিয়েছে, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করেছি। আশা করা যায়, স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে এই অভিজ্ঞতাগুলো কাজে দেবে।

বিসিএস সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার বলেন, স্মার্ট সিটি সামিটে অংশ নিয়ে আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সেগুলো দেশের জন্য কাজে লাগাতে চাই।

সাইবারজায়া মালয়েশিয়ার উদ্ভাবন ও বাণিজ্যবিষয়ক প্রধান রিচার্ড কার বাংলাদেশকে স্মার্ট সিটি প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের প্রত্যাশা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্মার্ট সিটিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের শহরের নাম।

সংবাদ সম্মেলনে বিসিএসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।