স্বাস্থ্য অধিদফতরের ২০১২-১৩ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বাস্তবায়ন দাবি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

২০১২-১৩ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বাস্তবায়ন চান লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্যরা। তাদের দাবি, এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বাস্তবায়ন করতে হবে, পরে নতুন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হোক। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাকরিপ্রত্যাশীরা জানান, ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকে ৯ জেলায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। জেলাগুলো হলো নওগাঁ, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, বরিশাল, ফরিদপুর, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহ। ২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা হয়। ওই বছরের ২৪ জুন ফল প্রকাশ হয়। এতে অকৃতকার্য একজন উচ্চ আদালতে রিট করেন। ওই বছরই রিটটি খারিজ করে নিয়োগটি শেষ করার আদেশ দেন আদালত। ২০১৪ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সময় ওই নিয়োগ শেষ না করে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এই পুনঃবিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট (মামলা নং ৪৭৪৭/১৪) করা হলে তা অবৈধ ঘোষণা করে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে নিয়োগ শেষ করার আদেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টর এ রায়ের বিরুদ্ধে ৬৫৪ দিন পর আপিল (মামলা নং ৫৩৯/১৭) করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আপিলটি ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদফতর রিভিউ আবেদন করেন (মামলা নং ১৮০/১৮)। এই রিভিউও আপিল বিভাগ ২০১৮ সালের ২১ মে খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

এ প্রসঙ্গে ‘২০১২-২০১৩ সালের স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে ৯ জেলার তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ প্রত্যাশিত কমিটি’র সভাপতি মো. বাইরুল হক বলেন, ‘২০১২-১৩ সালের সার্কুলার ছিল। পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল। এটা হাইকোর্টে রিট হওয়ার পরে আমরা হাইকোর্ট, আপিল বিভাগ, রিভিউ সম্পন্ন করে মন্ত্রণালয় থেকে তিনটা অর্ডার দেওয়ার পরও স্বাস্থ্য অধিদফতর নিয়োগটা দিচ্ছে না। এই নিয়োগ দেওয়া হোক। এটাই আমাদের দাবি।’

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বলেন, ‘এটি নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। আমি বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারবো না। যতদূর জানি, আমাদের এখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেভাবে আদালতের নির্দেশনা আছে সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নিয়োগ বন্ধ থাকায় সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো জনবল সংকটে ভুগছে।

সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছিলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট দূর করতে ৪০ হাজার কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে। ওই ঘোষণার বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক দায়িত্ব নেওয়ার পর একই অঙ্গীকার করেছেন।