স্বামী অথবা মাংস, যেকোনো একটা বেছে নিতে বলা হলো তরুণীকে

বিয়ে এমন বন্ধন যেখানে দুইটি ভিন্ন পরিবেশ-পরিস্থিতিতে বেড়ে ওঠা দুজন মানুষ চলে আসেন এক ছাদের নিচে। তাদের রুচি, পছন্দে ভিন্নতা থাকলেও সমঝোতার মাধ্যমে সংসার শুরু করেন। তবে এই নিরামিষভোজী স্বামী তার স্ত্রীর মাংস খাওয়ার অভ্যাস মোটেও বরদাস্ত করতে পারছিলেন না। তাই তো তাকে স্বামী কিংবা মাংস, দুইটার মধ্যে যেকোনো একটাকে বেছে নিতে বলেছেন।

ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীর এই মাংস খাওয়ার অভ্যাস তাকে কতটা পীড়া দেয়, সেটা জানিয়ে সংবাদপত্রে এক কলামিস্টের কাছে সাহায্য চেয়ে লিখেছিলেন। সেখানে এ নিয়ে ওই ব্যক্তির আকুতি দেখে মনে হচ্ছিল যে তিনি, তার স্ত্রী আর মজাদার মাংস-তাদের সম্পর্ক এই ত্রিভুজ প্রেমের চক্করে আটকে আছে।

কলামে ওই নিরামিষভোজী ব্যক্তি লিখেছেন, বিয়ের আগে ভেবেছিলেন তার স্ত্রীও তার মতো নিরামিষভোজী। কিন্তু হঠাৎ আবিষ্কার করেন তার স্ত্রীর গোপন প্রেম আছে। তবে সেই প্রেম কোনো মানুষের সঙ্গে নয়, খাসির মাংসের সঙ্গে। তার স্ত্রী খাসির মাংস খেতে ভীষণ পছন্দ করেন। এমনকি তার স্ত্রী তার কাছে স্বীকার করেছেন যে, তিনি খাসির মাংস এতোটাই ভালোবাসেন যে, এটা ছাড়া তিনি বাঁচতে পারবেন না।

যদিও বিয়ের আগে তার স্ত্রী তার কাছে প্রতীজ্ঞা করেছিলেন যে বিয়ের পর তিনি আর খাসির মাংস ছুঁয়ে দেখবেন না। কিন্তু বিয়ের পর সেই প্রতীজ্ঞা রাখতে পারেননি তার স্ত্রী। ঠিকই ‘গোপন প্রেমের’ কাছে ফিরে গেছেন তিনি।

তাই বাধ্য হয়ে ওই ব্যক্তি তাকে খাসির মাংস কিংবা স্বামী, দুটোর মধ্যে একটা বেছে নিতে বলেন। তবে ওই ব্যক্তি অবশ্য এই ভয়ও পাচ্ছেন যে, তার স্ত্রী হয়তো খাসির মাংসই বেছে নেবেন। এমনকি ওই কলামিস্টও তার ভয়কে আরও উসকে দিয়ে বলেছেন, মানুষ ভালোবাসা ছাড়া দিব্যি বাঁচতে পারে, খাবার ছাড়া নয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই সংবাদের কলামের ছবি ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

এক নেটিজেন লিখেছেন, ম্যান ইজ টেম্পোরারি, মিট ইজ ফরএভার। আরেকজন লিখেছেন, কোনো সন্দেহ নেই, মাংসই বেছে নিতাম। আরেক নেটিজেন মজা করে লিখেছেন, স্বামীর বদলে মাংসই বেছে নিতাম। যদিও আমি নিরামিষভোজী।

তবে শেষমেষ ওই তরুণী স্বামী আর খাসির মাংসের মধ্যে কোনটা বেছে নিয়েছেন তা জানা যায়নি।

 

সুত্রঃ যুগান্তর