শুক্রবার , ২৫ আগস্ট ২০২৩ | ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

স্বল্প সময়ের বৈঠকে একে-অপরকে যে বার্তা দিলেন জিনপিং-মোদি

Paris
আগস্ট ২৫, ২০২৩ ৬:০৬ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে স্বল্প সময়ের জন্য দ্বিপাক্ষিক ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ক্ষেত্রে যে সব বিষয়ে এখনও বিতর্ক আছে, তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা উচিত বলে মোদি জানিয়ে দিয়েছেন।

কোয়াত্রা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন- সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখাটা খুবই জরুরি। ভারত-চীন সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

কোয়াত্রা জানিয়েছেন, দুই নেতাই একটা বিষয়ে একমত হয়েছেন। সেটা হলো, তারা নিজ দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে উত্তেজনা কমাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলবেন।

বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ব্রিকসের মঞ্চে হাত মেলান এবং অভিবাদন জানান। তখনও তারা কিছুক্ষণ কথা বলেন। পরে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়।

আর সপ্তাহ দুয়েক পরেই দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন শি জিনপিং। তার আগে মোদির সঙ্গে তার এই কথপোকথন ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। লাদাখকাণ্ডের পর এই প্রথমবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠক হলো। চীন অবশ্য দাবি করেছে, ভারতই বৈঠকের অনুরোধ করেছিল।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে বালিতে জি-২০ সম্মেলনের ডিনারে দুই নেতা মুখে হাসি নিয়ে হাত মিলিয়েছিলেন। সেখানেও দুই নেতার মধ্যে সামান্য কথাবার্তা হয়েছিল।

এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, শি জিনপিং ও মোদির কথপোকথন ছিল খোলামেলা এবং তারা ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে গভীর আলোচনা করেছেন।

প্রেসিডেন্ট জিনপিং বলেছেন, ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হওয়ার অর্থ হলো, দুই দেশের ও মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো গুরুত্ব পাওয়া এবং এই অঞ্চলে ও বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হওয়া।

চীনের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশকেই সামগ্রিক স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হবে। সীমান্ত সমস্যার ঠিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। দুই দেশকেই সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে হবে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক