বৃহস্পতিবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

স্বর্ণের ভ্যাট কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব বাজুসের

Paris
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২ ৭:৫৭ অপরাহ্ণ

স্বর্ণ একটি মূল্যবান ও স্পর্শকাতর ধাতু হওয়ায় এর মোট বিক্রয়ের ওপর ২ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুল্ক, ভ্যাট ও কর সংক্রান্ত জাতীয় বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে খাতভিত্তিক প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক-বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাব দেন বাজুসের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন। এনবিআরের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা জুয়েলারি সেক্টরের গুণগত পরিবর্তন এনেছি।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিল্প পরিবারের (বসুন্ধরা গ্রুপ) এমডি সায়েম সোবহান আনভীর আমাদের জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বিশ্বমানের জুয়েলারি পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ১২ হাজার কোটি টাকার একটি গোল্ড রিফাইনারি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। ওয়ার্ল্ডের গুড কোয়ালিটি যেটা বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করবে। এটি বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়েও এক্সপোর্ট করতে পারবে। এই এক্সপোর্টের জন্য আমরা সেকেন্ড গার্মেন্টের  মতো আশাবাদী অনেক আগে থেকেই। এ জন্য আমাদের বিক্রয়ের ওপর ৫ শতাংশ যে ভ্যাট রয়েছে সেটা কমানোর প্রস্তাব করছি। ‘

তিনি বলেন, ‘জুয়েলারি শিল্পে আমাদের বর্তমানে ১০ হাজার সদস্য রয়েছেন। ইতিমধ্যে আমরা ৬৪টি জেলায় ট্যুর শুরু করেছি। ভ্যাট কমানো হলে আমাদের ২৮ থেকে ৩০ হাজার সদস্য হয়ে যাবেন। এখন যে রাজস্ব আসছে সেটা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ‘

বাজেট প্রস্তাবনায় বাজুসের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজার, স্বর্ণের উচ্চমূল্য ও নানাবিধ কারণে জুয়েলারি শিল্পে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ করায় জুয়েলারি ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তা ছাড়া আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে জুয়েলারি শিল্পে ৩ শতাংশ ভ্যাট বিদ্যমান থাকায় এবং ভারতের ভিসা প্রাপ্তি সহজলভ্য হওয়ায় এ দেশের ক্রেতা সাধারণ ভারত থেকে স্বর্ণালংকার ক্রয়ে উৎসাহী হচ্ছে।

আরো বলা হয়, আমাদের দেশে বর্তমানে আরোপিত ভ্যাট অনুযায়ী একজন ক্রেতা ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ক্রয় করলে তাকে ৫০ হাজার টাকা ভ্যাট দিতে হয়। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ক্রয় করলে মাত্র ৩০ হাজার টাকা ভ্যাট দিয়ে হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জুয়েলারি শিল্পের ওপর। তাই জুয়েলারি খাতে ভ্যাট সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে অর্থাৎ ২ শতাংশ হারে নামিয়ে আনা হলে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দিতে উৎসাহিত হবেন এবং ক্রেতা সাধারণও ভ্যাটদানে আগ্রহী হবেন। ফলে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘আপনাদের লিখিত প্রস্তাব পেয়েছি। আশা করছি এগুলো নিয়ে আমরা বসব। যে প্রস্তাবগুলো গ্রহণযোগ্য হবে সেটা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে এবং অফিশিয়াললি প্রসেস করব। ‘

প্রাক-বাজেট আলোচনায় বাজুসের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি গুলজার আহমেদ, বাজুসের সাবেক সভাপতি দীলিপ রায় অংশ নেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়