স্বপদে ফিরতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সেই তেল চোর কর্মকর্তার তদবির

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনদুপুরে তেল চুরির ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল হাসান স্বপদে ফিরতে তদবির শুরু করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনতে রেলওয়ের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা তাকে সহযোগিতা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অথচ তেল চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে অভিযুক্ত এই কর্মকর্তা নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশেন একাধিক সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, অভিযুক্ত প্রকৌশলী আবদুল হাসান স্বপদে ফিরতে রেলের বিভিন্ন দপ্তরে দেনদরবার শুরু করেছেন। তাকে সহযোগিতা করছে রেলের বেশকিছু কর্মকর্তা। তবে রেলওয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, যারা প্রকৌশলী আবুল হাসানকে সহযোগিতা করছে তারাও প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে এই তেল চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এই সিন্ডিকেট বিভিন্ন সময়ে রেলওয়ের তেল চুরিতে বিভিন্নভাবে মদদ দিয়ে আসছে।

গত ২৩ এপ্রিল রাজশাহী স্টেশনের রেলের ডিপো থেকে দিন-দুপুরে আনুমানিক এগারো হাজার লিটার জালানী তেল ট্রাকের লরিতে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে-নাতে যমুনা ওয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, ট্রাকের হেলপার ইলিয়াস হোসেন এবং যমুনা অয়েলের কর্মচারী মুকুল আলীকে আটক করে পুলিশ। পরে তেলচুরির সঙ্গে প্রকৌশলী আবুল হাসানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওইদিনই সাময়িক বরখাস্ত হন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের (রাজশাহী স্টেশন) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল হাসান। তিনি রেলের ওই ডিপোর দায়িত্বে ছিলেন। এরপর তিনি একদিন পলাতক ছিলেন। পরের দিন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চারজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় প্রকৌশলী আবদুল হাসানকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে তদন্ত কমিটির কাছে রেলের এই বিপুল পরিমাণ তেল চুরির ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন প্রকৌশলী আবদুল হাসান। এরপরও তিনি স্বপদে ফিরতে তদবির শুরু করেছেন। অথচ ঘটনার প্রায় চার মাস পেরিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোন ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। রেলওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও প্রকৌশলী আবুল হাসান ফোন রিসিভ করেননি।