বুধবার , ৯ জানুয়ারি ২০১৯ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

স্থবির হয়ে পড়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম

Paris
জানুয়ারি ৯, ২০১৯ ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সার্বিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। একদিকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলন, অন্যদিকে গত প্রায় ১৫ দিন ধরে অফিস করছেন না চেয়ারম্যান ও সচিব। তবে তিনি গত মঙ্গলবার থেকে অফিসে আসছেন বলে জানা গেছে। এই অবস্থায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ ফেলে যেন আয়েশে দিন পার করছেন। আবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চলা অনিয়মের তদন্তের কারণেও তিনি নিয়মিত অফিস করছেন না। ফলে প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম। শিক্ষা বোর্ডে বিভিন্ন কাজে এসেও ঘুরে যেতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। এ নিয়ে চরম অস্নোতষ বিরাজ করছে নানা কাজে আসা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতাদের মাঝে।

এদিকে গতকাল সকাল ১১টা থেকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটকের সামনে দৈনিক হাজিরাভিত্তিক (অস্থায়ী) কর্মচারীরা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, তাঁদের চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়া পর্যন্ত কালো ব্যাচ ধারণসহ পর্যাক্রমে বিভিন্ন কর্মসূচি তারা পালন করবেন। তাাঁরা ২০-২২ বছর ধরে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে তাাঁরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তাঁরা এ থেকে পরিত্রাণ চান। তাঁরা তাদের অস্থায়ী চাকুরি অনতিবিলম্বে স্থায়ীকরণের দাবি জানান।

কর্মসূচিতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের দৈনিক হাজিরাভিত্তিক (অস্থায়ী) কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. মুকুল শেখ, সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম শাহীন এবং. আল-মামুনসহ আরো অনেকেই বক্তব্য রাখেন। কর্মচারী জানান, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ৬২ জন অস্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন। যারা দিনের পর দিন একইভাবে চাকরি করে যাচ্ছেন।

এদিকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, কর্মচারীরা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছে। এই কর্মসূচির কারণে অধিকাংশ অস্থায়ী কর্মচারী অফিসে কোনো কাজ করছে না। আবার বোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও সচিব তরুণ কুমার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনোয়ারুল আমিন প্রামাণিক অফিশিয়াল কাজের কথা বলে গত প্রায় ১৫ দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। বিশেষ করে চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ঢাকায় থাকায় শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন ফাইল স্তুপ হয়ে পড়ে আছে। আবার তিন কর্মকর্তা একযোগে ঢাকায় থাকায় মূলত স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষা বোর্ডের সার্বিক কার্যক্রম।

রাজশাহীর দুর্গাপুরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘বিদ্যালয়ের জরুরী একটি কাজে গত কয়েকদিন ধরে তিনি ঘুরছেন। কিন্তু শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ তিন কর্মকর্তা না থাকায় প্রতিদিনই তাঁকে ঘুরে যেতে হচ্ছে।

রাজশাহীর পাবনা থেকে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে এসেছিলেন আকবর হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, তার কিছু সনদ হারিয়ে গেছে। সেগুলো নতুন করে উত্তোলনের জন্য ঘুরছেন তিনি। বোর্ডের কর্মকর্তারা না থাকায় কর্মচারীরাও কোনো কাজ করছেন না। ফলে গত কয়েকদিন ধরে তিনি এসে ঘুরে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, জরুরী অফিসিয়াল কাজে আমি ঢাকায় আছি। তবে শিক্ষা বোর্ডের কাজের স্থবির হওয়ার কথা নয়। ঢাকা থেকে ফিরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার অনিয়মের তদন্ত চলছে। এ নিয়ে এমনিতেই রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে।

সূত্র জানায়, চেয়ারম্যানের অনিয়মের তদন্ত চলার কারণেই তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এবং নিজেকে রক্ষা করতে নিয়মিত অফিস করছেন না। গত প্রায় মাস খানেক ধরে চেয়ারম্যান নিয়মিত অফিসে আসেন না।

 

স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর