স্ত্রীর প্রথম বিয়ে জেনে যাওয়ায় ‘হত্যা’

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্ত্রীর প্রথম বিয়ে জেনে যাওয়ায় স্বামী তাকে ‘হত্যা’ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্বশুরবাড়িতে মোবাইল ফোনে আত্মহত্যার কথা জানিয়ে আত্মগোপন করেছে ঘাতক স্বামী।

বৃহস্পতিবার সকালে কুমারখালীর শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে সুমি (২৬) নামে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত সুমির পিতা আবদুল হালিম জানান, ২০১৭ সালে কুমারখালীর শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামের মৃত আজমত আলীর ছেলে বাবলু ওরফে বাবুর সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সুমির প্রথম বিয়ের কথা গোপন রাখেন তারা। বিষয়টি কিছুদিন পর জানাজানি হলে বাবলু তার মেয়ের ওপর নির্যাতন করতে থাকে।

তিনি জানান, মঙ্গলবার বাবলু তাকে ফোনে জানায় সুমিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ সংবাদ শুনে তার বড় ছেলেকে বাবলুর বাড়িতে পাঠান মেয়েকে খুঁজতে। খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়া গেলে তিন বছরের নাতনিকে খোকসা গোপগ্রাম তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে তার ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে তার জামাই বাবলু ফোনে আবার জানায় তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।

আবদুল হালিম দাবি করেন, তার মেয়েকে ২৪ নভেম্বর বাবলু মেরে ফেলেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান জানান, বাবলু তার স্ত্রীর প্রথম বিয়ের বিষয়টি জানার পর থেকেই নির্যাতন করত বলে এলাকাবাসী জানান। বাবলুর মা মেয়ের বাড়ি থেকে বুধবার বাড়িতে এসে বৃহস্পতিবার সকালে তার পাশের ঘরের আড়ার সঙ্গে সুমির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। বাবলু পলাতক রয়েছে।

তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা জানা যাবে। বর্তমানে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর