বাগমারায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর বাগমারায় গৃহবধু শারমিন আক্তার লিপিকে যৌতুকের দাবিতে হত্যা করার দায়ে স্বামী ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ফাসিঁর দণ্ডপ্রাপ্ত আসমি হলেন, বাগমারার ভবানিগঞ্জ হিন্দুপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলী মেকারের ছেলে রফিকুল ইসলাম।

 

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক কেএম শহিদ  আহমেদ এ রায় দেন।

 

একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলামের মা শামসুন নাহার, সৎমা আয়েশা সিদ্দিকা, বাবা মোহাম্মদ আলী ও মামা রফিকুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা প্রত্যেকেই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, বাগমারার ভবানিগঞ্জ হিন্দুপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার লিপির উপর বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। ২০০৭ সালের ৭ আগস্ট রাতে নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়।
তবে ঘটনা ধামাচাপা দিতে শারমিন আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু পুলিশ রফিকুলকে গ্রেফতার করে। পরে পাঁচজনকে আসামি করে বাগমারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
গৃহবধূ শারমিন আক্তার লিপি হত্যা মামলায় মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। পরে আসামির বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বেগম। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট একরামুল হক ও আসাদুজ্জামান মিঠু।

 

 

স/আ