সৌরভকে ‘লেবু কচলে তেতো’ না করার আহবান আফ্রিদির

ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো প্রশ্নে বিরাট কোহলি আর সৌরভ গাঙ্গুলী যুদ্ধবিরতি দিলেও সাবেক ক্রিকেটার এবং সমর্থকদের মুখ বন্ধ করা যাচ্ছে না। এই ইস্যুতে ভারতীয় ক্রিকেট এখন দুই ভাগ হয়ে গেছে। অনেকের মতে, কোহলিকে এভাবে নেতৃত্ব থেকে সরানো উচিত হয়নি। তাছাড়া বিসিসিআই সভাপতি সৌরব যেভাবে বিষয়টা মিডিয়ায় এনেছেন, সেটাও ঠিক নয়। এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে কোহলি নিজেই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহদুয়েক আগে কোহলিকে সরিয়ে দেওয়া হয় ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে। তখন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছিলেন, কোহলির সঙ্গে কথা বলেই নাকি তাকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরানো হয়েছে। কোহলি প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি অস্বীকার করেন। তার বক্তব্য ছিল, দল ঘোষণার দেড় ঘণ্টা আগে নাকি তাকে ফোন করে জানানো হয়েছিল।

বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেন, ‘এটা আরও ভালোভাবে সামলানো যেত। আমি সবসময় বিশ্বাস করি, এ ধরনের বিষয়ে ক্রিকেট বোর্ডের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো বিষয়ে নির্দিষ্ট ক্রিকেটারকে নির্বাচক কমিটির স্পষ্টভাবে বলা উচিত যে, তাকে নিয়ে দলের পরিকল্পনা কী। এ বিষয়ে সেই খেলোয়াড়ের মতামতও জানতে হবে। মিডিয়ার মাধ্যমে এ ধরনের বিষয় জানতে পারলে সমস্যা হবেই। খেলোয়াড় ও বোর্ডের মধ্যে অনেক সমন্বয় থাকা উচিত।’

বিরাট কোহলি এখন টেস্ট দল নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছেন। আফ্রিদি আরও বলেন, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে এ বিষয়ে কথা না বলে, মুখোমুখি কথা বলতে হবে এবং সমাধান বের করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে যত টানাটানি করা হবে, তত বিগড়ে যাবে। বিষয়টা আরও তেতো হয়ে যাবে। পাকিস্তানে যেমন খেলোয়াড় এবং পিসিবির মধ্যে যোগাযোগের ব্যবধান যেমন থাকা উচিত নয়, তেমনি বিশ্বের যে কোনো বোর্ডের ক্ষেত্রে একই বিষয় প্রযোজ্য।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ