সৌম্যর ক্যাচের রেকর্ডে ভাগ বসালেন সাদমান

শুরুটা করেছিলেন অভিজ্ঞ রস টেলরকে দিয়ে আর শেষটা করেন হেনরি নিকলসের মাধ্যমে। মাঝে রাচিন রবীন্দ্র এবং কাইল জেমিসনের ক্যাচও তালুবন্দী করেন সাদমান ইসলাম অনিক। আর এতেই হয়ে গেছে বাংলাদেশের পক্ষে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যতীত ফিল্ডারদের মধ্যে এক ইনিংসের সর্বোচ্চ রেকর্ড এতদিন ধরে ছিল সৌম্য সরকারের। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টে চারটি ক্যাচ লুফেছিলেন সৌম্য। প্রায় পাঁচ বছর পর সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন সাদমান।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্টের প্রথম দিনে শর্ট কভারে দাঁড়িয়ে টেলরের ক্যাচ ধরেছিলেন সাদমান। আজ ম্যাচের দ্বিতীয় দিন তিনি একে একে নিয়েছেন রাচিন রবীন্দ্র, কাইল জেমিসন ও হেনরি নিকলসের ক্যাচ। শেষ ক্যাচটির মাধ্যে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।

বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে আর কোনো নন কিপার ফিল্ডারের এক ইনিংসে চার উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব নেই। তবে ইনিংসে তিনটি করে ক্যাচ ধরেছেন আল শাহরিয়ার (২০০০), আমিনুল ইসলাম (২০০২), রাজিন সালেহ (২০০৩), মাহমুদউল্লাহ (২০১৪), মুশফিকুর রহিম (২০১৮), লিটন দাস (২০১৮), সৌম্য সরকার (২০১৯), মুমিনুল হক (২০১৯) ও নাঈম হাসান (২০২০)।

এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ৫টি ক্যাচ ধরার বিশ্বরেকর্ড রয়েছে ১৩ জনের। তারা হলেন ভিক রিচার্ডসন (অস্ট্রেলিয়া, ১৯৩৬), যাজুরবিন্দ্রা সিং (ভারত, ১৯৭৭), মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন (ভারত, ১৯৮৯), কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত (ভারত, ১৯৯২), স্টিভেন ফ্লেমিং (নিউ জিল্যান্ড, ১৯৯৭), গ্রায়েম স্মিথ (দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১২), ড্যারেন স্যামি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৩), ড্যারেন ব্রাভো (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৪), অজিঙ্কা রাহানে (ভারত, ২০১৫), জার্মেইন ব্ল্যাকউড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৫), স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া, ২০১৮), বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড, ২০২০) ও লাহিরু থিরিমান্নে (শ্রীলঙ্কা, ২০২১)।

উল্লেখ্য, ওয়ানডে ক্রিকেটেও বাংলাদেশের নন কিপার ফিল্ডারদের মধ্যে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড সৌম্য সরকারের। তিনি ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নেন ৪টি ক্যাচ। আর টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩টি ক্যাচ ধরেছেন ছয়জন ফিল্ডার। সাব্বির রহমান একাই ধরেছেন তিনবার।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ