সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোরগঞ্জের যুবক নিহত

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমান হারিছ (৩২) নামে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার  এক যুবক নিহত হয়েছেন।

রবিবার সকালে সৌদির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহতের  পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মিজানুর রহমান হারিছ পাকুন্দিয়া উপজেলার চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রামের সরদার বাড়ির সাহাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক। সৌদি আরবের রিয়াদে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি।

ঘটনা সম্পর্কে নিহতের ভাই ফরিদ জানান, গত সাত বছর আগে হারিছ সৌদি আরবে যান। তিনি রিয়াদে বসবাস করতেন। সৌদি আরব থেকে হারিছের এক সহকর্মী তাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জানান ফরিদ।

তিনি জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে ডিউটিতে যান তিনি। ডিউটি শেষে সৌদি সময় বিকাল চারটায় বাসায় ফিরছিলেন। রাস্তায় মালবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে হারিছ গুরুতর আহত হন। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে রবিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মিজানুর রহমান হারিছের শতবর্ষী পিতা সাহাব উদ্দিন বলেন, ৭ বছর আগে আমার ছেলেকে সৌদি আরব পাঠিয়েছি। এখন সে নাই, এ কথা ভাবতেই পারি না। দূর দেশে সে মারা গেছে, আমরা তার লাশটা কি পাব?

তাকে হারিয়ে পুরো পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মিজানুর রহমান হারিছের স্ত্রী কল্পনা বেগম দুই ছেলে ও এক মেয়ের কথা বলে বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে আকুতি জানাচ্ছি, আমার স্বামীর মৃতদেহ আমাদের কাছে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার। আমরা যেন তাকে নিজ হাতে কবর দিতে পারি। আমার স্বামীর পাঠানো টাকা দিয়ে আমার পরিবারের এবং আমার শ্বশুরের ওষুধ খরচ চলতো। তার তিন ছেলে মেয়ে রয়েছে। সবাই তার দিকে চেয়ে থাকতাম। এখন আমাদের কী হবে?

আমার নাতি-নাতনি, পুত্রবধূর কি হবে। এসব কথা বলে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধ সাহাব উদ্দিন।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন