পুঠিয়ার সেই কাউছারের ডোপ টেস্টের দাবি মায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক
মাদক সেবনের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী কাউছার আলীকে কারাদণ্ড প্রদানের প্রেক্ষিতে তার ডোপ টেস্ট পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছেন মা নুরুন্নাহার। মায়ের দাবি তার ছেলে ধূমপানও করেন না। কর্মকর্তার সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে মিথ্যা মামলায় তার ছেলেকে ফাসানো হয়েছে। তাই ন্যায় বিচারের জন্য সোমবার তিনি ছেলের ডোপ টেস্ট করানোর জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন জানিয়েছেন।

কাউছার আলীর বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া গ্রামে। তার বাবার নাম মজিবর রহমান। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওলিউজ্জামান ইয়াবা সেবনের অভিযোগে কাউছারকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

মা নুরুন্নাহার তাঁর আবেদনে বলেছেন, তাঁর ছেলে কাউছার আলী তাঁর বাঁচার একমাত্র অবলম্বন। তাঁর ছেলের সঙ্গে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পুঠিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুমানা আফরোজের কথা কাটাকাটি হয়। পরে ২৯ ফেব্রুয়ারি কাউছারকে ইউএনও অফিসে দেখা করতে বলা হয়। দেখা করতে গেলে তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযুক্ত করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এটা অন্যায়। তাই তিনি ডোপ টেস্টের মাধ্যমে তার ছেলের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন।

এদিকে, ওলিউজ্জামান স্বাক্ষরিত কারদণ্ড প্রদানের কয়েদ পরোয়ানায় বলা হয়েছে, পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনের পেছনে নির্জন স্থানে ইয়াবা সেবনের মাধ্যমে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট করার অপরাধে কাউছার আলী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (৫) ধারায় ছয়মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে।

জানতে চাইলে ওলিউজ্জামান বলেন, সহকারী কমিশনারের সঙ্গে তর্কবিতর্কের বিষয়টি আলাদা। কোয়ার্টারের দিকটা নির্জন। সেখানে মাদক সেবন করার বিষয়টি জানতে পেরে ভ্রাম্যমাণ আদালত করে কাউছারকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রকাশ্যে মাদক সেবন করা অবস্থায় তাকে পাওয়া গেছে। তাই ডোপ টেস্টেও কোনো প্রয়োজন পড়ে না।

কথা কাটাকাটির বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুমানা আফরোজ বলেন, অপরাধী অপরাধ থেকে বাঁচার জন্য অনেক অজুহাত খাড়া করে। তার নামে মাদকসেবনসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। কথা কাটাকাটির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

ডোপ টেস্টের আবেদন পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, এরকম তথ্য তার কাছে নেই।

স/আর