সূচক ঊর্ধ্বমুখী, লেনদেনে ধীরগতি

টানা সাত কার্যদিবস দরপতনের পয় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। তবে লেনদেনে ধীরগতি রয়েছে।

প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৩০ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৫০-এর বেশি প্রতিষ্ঠান।

এর মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদাম বেড়ে হল্টেড (এক দিন যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই বেড়েছে) হয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ দামে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিপুল পরিমাণ শেয়ারের ক্রয় আদেশ এলেও বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে মূল্যসূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে এ বাজারটিতেও লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।

এর আগে গত সপ্তাহে শেষ চার কার্যদিবস এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস মূল্যসূচক কমে। সেই সঙ্গে দরপতন হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের। টানা সাত কার্যদিবসের পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৯০ পয়েন্ট কমে যায়। পাশাপাশি দেড় হাজার কোটি টাকার ওপরে চলে যাওয়া লেনদেন ৭০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে গেছে।

এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম আধাঘণ্টাজুড়েই অব্যাহত থাকে।

তবে প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কমার পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকাও কিছুটা ছোট হয়েছে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৫০ মিনিটে ডিএসইতে ২৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৪টির। আর ৫২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৮১ কোটি ৮ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ২৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির।