সুস্থ হয়ে আইসিইউ থেকে মাদ্রাসায় ফিরলেন আল্লামা শফী

প্রায় এক সপ্তাহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে মাদ্রাসায় ফিরলেনহেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও আল-জামিয়াতুল দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

সোমবার (১৫ জুন) বিকাল ৩টার দিকে আল্লামা শফীর ছোট ছেলে ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি আরও জানান, আধা ঘন্টার মধ্যে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র দিবেন। এরপর তিনি তার পিতাকে নিয়ে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

গত ৭ জুন (রোববার) আল্লামা শফীর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৮০ এর নিচে নেমে এসেছিল। তাই সেদিন সন্ধ্যার পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেদিন অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রাত ৮টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছিল।

পরের দিন সকাল থেকে তার শ্বাসকষ্ট কমে আসে এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা প্রায় ৯৭ এর ওপরে উঠেছে এবং শারীরিক অবস্থান উন্নতি হতে শুরু করে।

এরমধ্যে ৮জুন (সোমবার) আল্লামা শফীর চিকিৎসার বিষয়টি সিদ্ধান্ত নিতে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ৭ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছিল। সেদিন দুপুর ১২টায় চমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. রঞ্জন কুমার নাথ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সুজত পালের নেতৃত্বে এই মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসেছিল।

পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আল্লামা শফীর জ্ঞান ফিরে আসে। জ্ঞান ফেরার পর তিনি প্রথমে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য দোয়া করেন। তাদেরকেও তিনি তার জন্য দোয়া করতে বলেন। এছাড়া মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে আল্লামা শফীর বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু তাতে খারাপ কিছু আসেনি।

প্রসঙ্গত, আল্লামা শফীর দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট এবং হজমজনিত সমস্যায় ভুগছেন।

বার্ধক্যের কারণে এ সব রোগ দিন দিন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। ফলে তাকে ঘন ঘন হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়। চলতি বছরে এর আগেও কয়েক দফা অসুস্থ হয়ে তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।