সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটাদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে উপস্থিতি বাড়তে থাকে।

এদিকে, চকআলমপুর ও কারবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হলেও ভোট নেয়ার ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব পড়েনি বলে জানান রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান।

ইসলামপুর ও দেবীনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকে এ ইউনিয়নগুলোর ভোট কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশী ছিল। বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের পাশাপাশি নারী ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

প্রিজাইডিং অফিসাররা জানান, দুপুরের পর থেকে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। অপর দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে জোর করে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে পৌর আজাইপুর আরামবাগ দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের জিয়াউর রহমান তোতা অভিযোগ করে বলেন, প্রিজাইর্ডিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপিস্থিতিতে নৌকার সমর্থকরা জোরপূর্বক কেন্দ্রে ঢুকে ৩ নং বুথের সিল ছাড়াই ২৯টি ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ভরে দেয়। বিষয়টি প্রশাসনের ঊর্দ্ধতণ কর্মর্তোদের জানানো হয়েছে।

ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার প্রকাশ চন্দ্র শীল জানান, কিছু ছেলেরা হঠাৎ করেই কেন্দ্রে ঢুকে ভোট কাটার চেষ্টা করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমরা তাদের প্রতিহত করি। এ সময় কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ভোট নেয়া।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট নার্গিস সুলতানা বলেন, যে কটি জাল ভোট দেয়া হয়েছে তা গণনার সময় বাতিল করা হয়।

রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১’শ ৫৭টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে সুষ্ঠ এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। কেন্দ্রগুলোতে সকালে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও দুপুরের পর থেকে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তিনি আরো জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য ৬ প্লাল্টুন বিজিবি, ৪’শ ৭১ জন পুলিশ, প্রায় ২ হাজার আনসার-গ্রাম এবং র‌্যাবের ৬টি দল মোতায়েন ছিল।

একটি সুত্রে জানা গেছে, জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এ নির্বাচনে তারা প্রার্থী না দেয়ায় ভোটারদের উপস্থিতি কম হয়েছে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটর ছিল ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯’শ ১৪। এখানে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোট গণনা চলছিল। কোন সেন্টারের ফলাফল পাওয়া যায়নি।

স/অ