সুর সম্রাটকে একটিবার দেখতে দরজার ওপারে ভক্ত মারিয়া


নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাঝ বয়সী মারিয়া মাড্ডি। থাকেন রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ নওদাপাড়া এলাকায়। সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে স্বামীর পাশাপাশি নিজেও মানুষের কৃষি জমিতে দিন মজুরের কাজ করেন। চোখ-মুখে রোদে পোড়ার দাগ স্পষ্ট। হাতেও পুরু ঘটার দাগ। চেহারায় জীবন সংগ্রামের ছাপ স্পষ্ট।

প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুর খবর পেয়ে কাজ বাদ দিয়ে ছুটে এসেছেন প্রিয় শিল্পীর মুখখানা শেষ বারের মতো দেখতে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) মহিষবাথান এলাকায় এন্ড্রু কিশোরের বোনের বাড়ি প্রধান দরজার কাছে তাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এই বাড়িতেই সোমবার সন্ধ্যায় সুর সম্রাট এন্ড্রু কিশোর মারা যান। সন্তানরা দেশের বাইরে থাকায় তার লাশ সমাহিত না করে রাখা হয়েছে রামেক হাসপাতালের লাশ রাখার হিমঘরে।

এই বাড়ির সামনে আসার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে মারিয়া আবদারের ছলে বলেন, রবিবার রাতে শুননু এ্যন্ডু কিশোর মারা গেছে। তাই একবার দেখতে আসেছি। একটু দেখার ব্যবস্থা করিদিত বলেনতো।

এন্ড্রু কিশোরের গানের ভক্ত এই মারিয়া মাড্ডি জানেনা তারা প্রিয় মানুষটি কতোটা দু:সহ যন্ত্রণায় পৃথিবীর মায়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। শেষ দিনগুলোতে কিভাবে নিজের মৃত্যুর প্রহর গুণতে হয়েছে শিল্পী ও তার পরিবারের সদস্যদের।

ভক্ত মাড়িয়া বলেন, আমি ছোট বেলা থাকতেই ওই মানুষটার মেলা গান শুনেছি। খুব সুন্দর গান করে। একটু দেখবো মুখটা।

কখনো সামনে থেকে তার প্রিয় শিল্পী এন্ড্রু কিশোরকে দেখেছেন কিনা বা কখনো শিল্পী তাকে সহযোগীতা করেছেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মারিয়া মাড্ডি সরাসরি উত্তর দেন, না। কথায় বোঝা যায় কোন স্বার্থের টানে তিনি শিল্পীকে দেখতে আসেনি।

তবে কেনো এতটা পথ মাড়িয়ে এলেন এখানে?

এর কোন উত্তর না দিয়ে মারিয়া ওই বাড়িটির দরজার দিকে শুধু তাকিয়ে রইল। আর আবারো অনুরোধ করে বললো, একটাবার দেখবো মানুষটাকে।

স/রা