সুদিন আসছে ডালে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সরকার দেশের তিনটি জেলায় উচ্চ ফলনশীল ডাল উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে এ ধরনের ডালের জাত উদ্ভাবনে বাড়ানো হবে প্রযুক্তির ব্যবহার। দেশের একমাত্র ডাল গবেষণা কেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।

‘আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, মাদারীপুরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বৃহত্তর বরিশাল, ফরিদপুর অঞ্চলে ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তিন বিভাগের ১৩ জেলার ৫২ উপজেলার কৃষক উপকৃত হবেন বলে সূত্র জানায়।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নিজস্ব তহবিল থেকে প্রকল্পের ১৬৮ কোটি টাকা যোগান দেবে সরকার।

পরিকল্পনা কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাগাদ প্রকল্পটি শতভাগ বাস্তবায়িত হওয়ার কথা রয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর এটি একনেকের অনুমোদন পেয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্র জানায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রতিকূল পরিবেশ সহিষ্ণু, স্বল্প মেয়াদী, উচ্চফলনশীল, জলবায়ু অভিযোজনশীল ডাল বীজ ও ডালের উৎপাদন প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে বিতরণ করা সম্ভব হবে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে ফলন, কমবে আমদানি।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ প্রকল্পের আওতায় ডালের তিনটি উচ্চ ফলনশীল জাত এবং ১৫টি লাগসই উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হবে। দেশ-বিদেশ থেকে ডালের ৭৫০টি জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করা হবে ও ১৫০ মেট্রিক টন বীজ উৎপাদন করা হবে। প্রকল্প এলাকায় ৪ তলা ভিতসহ ৩ তলা ভবন ও ৭৮০ বর্গমিটারের ল্যাবরেটরি নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া একটি পানিশোধন প্লান্টও স্থাপন করা হবে। ৫ হাজার বর্গমিটারজুড়ে হবে অভ্যন্তরীণ রাস্তা। একটি কুলিং ইউনিটও করা হবে।

এ সবের জন্য ৩০ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও ২ লাখ ৪০ লাখ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন করা হবে বলে জানা গেছে।

উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিগুলোর মাঠপর্যায়ের উপযোগিতা যাচাই করা হবে ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চলের ১১টি জেলার ৫০টি উপজেলার প্রায় দেড় হাজার জমিতে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, ‘দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাতে ডালের অবদান ব্যাপক। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ডালের উৎপাদন বাড়বে। মাদারীপুরের আঞ্চলিক ডাল গবেষণাগারের সক্ষমতাও বাড়বে। অর্থনীতিতে সরাসরি অবদান রাখবে এটি।’

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন