শনিবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সুচি গণহত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন

Paris
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নির্মূল অভিযানে শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সুচির সহযোগিতা রয়েছে। নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে না দাঁড়িয়ে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে মনে করেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি।

মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা লির মতে, অপরাধ সংঘটনে সহযোগিতা বা তা রোধে কিছু না করার জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়।-খবর দা সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের।

যুক্তরাজ্যের সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ফোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ইয়াংহি লি।

শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ ইয়াংহি লি বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর যা ঘটেছে, তা গণহত্যার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। কাজেই মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সুচি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গণহত্যা কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন।

চ্যানেল ফোরকে লি বলেন, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, তিনি এজন্য দায়ী। সহযোগিতাও অপরাধের অংশ। কাজেই তিনি দায়মুক্ত হতে পারেন না।

সেখানে কি রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নিধনের চেষ্টায় গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে কি না সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একদম হয়েছে। গণহত্যা নিরূপনে আইনিভাবে নির্ভূল হতে হবে এবং এটা একটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হতে হবে। তাই আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, সেখানে গণহত্যার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

রাখাইনে যে কয়জন রোহিঙ্গা নিহতের খবর প্রকাশ হয়েছে, তার চেয়ে এই সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করেন ইয়াংহি লি।

তিনি বলেন, সেখানে আরও গণকবর পাওয়া যাবে, তা দ্রুত কিংবা বিলম্বে হোক না কেন। কারণ সেখানে এরকম কিছু ঘটেছে বলে আমার কাছে তথ্য এসেছে।

সাক্ষাৎকারগ্রহীতা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চিকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের দেবী অভিহিত করলে জাতিসংঘের বিশেষ দূত লি বলেন, তিনি কখনোই মানবাধিকারের দেবী ছিলেন না। তিনি একজন রাজনীতিক ছিলেন এবং এখনও তিনি একজন রাজনীতিক।

ইয়াংহি লি ২০১৪ সালে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে ছয়বার মিয়ানমার সফর করেছেন। তবে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলে মিয়ানমার তাকে সব সময় অবাধে কাজ করার সুযোগ দেয়নি।

তিনি সর্বশেষ মিয়ানমারে গিয়েছিলেন গত জুলাইয়ে। এরপরই রাখাইনে সহিংসতা থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা পালাতে শুরু করলে মিয়ানমারে তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির সরকার।

তিনি বলেন, মিয়ানমার যদি তার বৈষম্যমূলক ও দমননীতি পরিহার না করে, তবে সেখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়। যদি তারা সেখানে ফেরতও যায়, তবে একই ঘটনা আপনি আবার ঘটতে দেখবেন।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক