এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে কার্যকরী পদে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন অভিনেত্রী সুচরিতা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের একসময়ের ডাকসাইটে এই অভিনেত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে আসেন। শিল্পী সমিতির কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকায় বাইরে বসেই অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে। এমন ঘটনার কারণে নিপুণের তীব্র সমালোচনা করেন সুচরিতা।
তবে এই সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন অভিনেত্রী নিপুণ। রবিবার হাইকোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে এফডিসিতে আসেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।
সুচরিতার সমালোচনার জবাবে নিপুণ বলেন, ‘সুচরিতা আপারা আমাকে নিয়ে বলতেই পারেন। উনারা যদি আমাকে সাপোর্ট দিয়ে এতোদূর না নিয়ে আসতেন তাহলে হয়তো আমি আজকের অবস্থানে আসতে পারতাম না। ’
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে নিপুণ বলেন, ‘অনেক সময় অনেক কিছু হয়ে যায়, উনি একটা প্যানেলে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে সে প্যানেলের হয়ে কথা বলবেন। কিন্তু এসব কথা আপনারা গণমাধ্যমে এভাবে লিখবেন না, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ। ’
এই অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘আমি কয়েকজনকে নিয়ে কখনোই কথা (নেতিবাচক অর্থে) বলব না। আমার প্রথম নায়ক রুবেল ভাই, যদিও তার সঙ্গে আমার প্রথম ছবিটি মুক্তি পায়নি। তারপরও রুবেল ভাইকে নিয়ে আমি কথা বলতে পারব না। আরেকজন হচ্ছেন প্রয়াত মান্না ভাই। ’
নিপুণ সম্পর্কে সুচরিতা সেদিন বলেছিলেন, ‘সে চিত্রনায়িকা? নায়িকা হিসেবে ভিত্তিই তো করতে পারেনি এখনো। সে সমিতি চালাবে? কে সমিতি চালাবে? সে কী জানে সমিতির? নাই কাম নাই কাজ, কী করি খই ভাজ; এখন এ অবস্থা হয়েছে চলচ্চিত্রের। শুটিং নেই ফুটিং নেই, একটা কিছু নিয়ে থাকতে হবে তো। মা… গো… পাগল হয়ে গেলাম। আর এখন সন্দেহ আছে থাকব কি না চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে। ‘
নিপুণ সাংবাদিক সম্মেলনে যখন নমনীয় হলেন, সুচরিতাকে সম্মান জানিয়ে কথা শেষ করলেন তখন অনেকেই তাঁর প্রশংসা করেছেন, অনেকেই বলে উঠেছেন অভিনয়শিল্পীদের এমন গুণ থাকা প্রয়োজন।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ