সীতাকুণ্ডে করোনায় আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

তিন দিন ধরে আইসিইউর জন্য হন্য হয়ে ঘুরেও শেষ পর্যন্ত আইসিইউ না মেলায় বাঁচানো গেল না করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সীতাকুণ্ডের আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহআলমকে। শনিবার রাত ১১টায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহআলম বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন। বাড়িতে চিকিৎসায় তার উন্নতি না হওয়ায় গত বুধবার তাকে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অক্সিজেন সার্পোটে রেখে তার চিকিৎসা চলছিলো।

বৃহস্পতিবার তার করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে তার করোনা প্রজেটিভ বলে জানায় ডাক্তাররা। এ সময় তার পরিবার তাকে বিআইটিআইডি হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহআলমের চিকিৎসাকালীন সময়ে তাঁর সাথে থাকা ঘনিষ্ট বন্ধু মোঃ নাসির সাংবাদিকদের জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকায় তাকে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই আমরা। এরপর গত তিন দিন ধরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আইসিইউ সাপোর্ট চেয়ে অসংখ্য বেসরকারী হাসপাতালে ঘুরেছি। কিন্তু তখনো করোনার নেগেটিভ কোন রিপোর্ট না আসায় কেউ তাকে ভর্তি নিতে রাজি হয়নি। শনিবার সকালে চিকিৎসকরা জানান তার করোনা প্রজেটিভ এসেছে। তখন আমরা আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে সীতাকুণ্ডের ডাক্তার আশুতোষ নাথের সাথে কথা বলে সেখানে নিয়ে ভর্তি করাই। কিন্তু সেখানেও আইসিইউ খালি ছিলো না।

এভাবে আইসিইউ না পাওয়ায় তিনি পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাচ্ছিলেন না। এভাবে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রাত ১১টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এদিকে ইঞ্জিনিয়ার শাহআলমের মৃত্যুতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সীতাকুণ্ডের এমপি আলহাজ্ব দিদারুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আল মামুন, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী প্রমুখ।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ