সিলেট রেঞ্জের ডিআইজির হুঁশিয়ারি সিলেটে জঙ্গিবাদের ঘটনা ঘটলে জীবিত থাকবে না

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সিলেট বিভাগে জঙ্গিবাদের কোনো ঘটনা ঘটলে কোনো জঙ্গিকে জীবিত অবস্থায় ফেরত দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন পুলিশের সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমার পুলিশ বাহিনীর সদস্যর গায়ে যদি একটি হাত পড়ে, একটি বোমা পড়ে, একটি গ্রেনেড হামলা হয় দায়িত্ব হিসেবে আমি ডিআইজি বলতে চাচ্ছি ওই জঙ্গি বাংলাদেশে কোনোদিন আর বাবা-মার কাছে ফেরত যাবে না, যেতে দেওয়া হবে না।’

 

সোমবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং ইউনিট আয়োজনে জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডিআইজি।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ্ জালালের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. ফিরোজ, পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা ওয়াহিদ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন, মৌলভীবাজার চেম্বার অ্যান্ড কর্মাসের সভাপতি মো. কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বাবুল, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সম্পাদক এস এম উমেদ আলী, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিহির কান্তি দে, শিক্ষক রাশেদা আক্তার, মাওলানা সামছুল ইসলাম, মাওলানা শামিম আহমদসহ আরো অনেকে। সভায় জেলা বিভিন্ন উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, প্রেসক্লাব নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সহস্রাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

ডিআইজি মিজানুর রহমান বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ এ দেশে ছিল না। বাংলাদেশে যখন অপরাধ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, একেবারে বিগত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভালো অবস্থানে ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল। পুরোহিত হত্যাকাণ্ড, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মযাজককে হত্যাকাণ্ড, জাপানি নাগরিকদের এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিল ছিল। কারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তা এ দেশের মানুষ ভালো জানে। এখানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে আমরা মনে করি দেশি-বিদেশি চক্রান্ত এখানে জড়িত। এদের মূল উৎপাটন করার দায়িত্ব হলো আমাদের। এই দায়িত্ব বাংলাদেশ পুলিশের বা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর একার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্ভব হবে যদি আজকে এই কমিউনিটির সবাইকে আমরা জড়িত করি। যার কারণে আজকের এই সমাবেশ।

 

ডিআইজি বলেন, ‘আমরা বলতে চাচ্ছি-গুটি কয়েক বিপথগামী তরুণ যারা ইসলামের নামে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশে সে ধনীর দুলাল হোক আর সে মাদ্রাসার ছাত্র হোক কাউকে কিন্তু আর কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না।’

সূত্র: এনটিভি