সিলেটে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভিড়, নৌকার পালে হাওয়া

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে প্রচারণায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভিড় লেগেই আছে। তারা দল বেঁধে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে ঝড় তুলেছেন।

নেতারা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে স্থানীয় সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দিচ্ছেন। যেকোনো মূল্যে নির্বাচনী ফসল ঘরে তুলতে তারা বদ্ধপরিকর। হাবিবের পক্ষে প্রচারণা চালাতে কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটমুখী হওয়ায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে।

জেলা আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেছে। মহানগর আওয়ামী লীগও বিভিন্ন উপকমিটি করে দিয়েছে। শোকের মাস আগস্টে শোকসভার পাশাপাশি চলছে নির্বাচনী জোর প্রচারণা। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা রং-বেরংয়ের নৌকা তৈরি করে ব্যানার ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন।

নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে সিলেটে রোববার সকালে আরও ৫ কেন্দ্রীয় নেতা পুণ্যভূমি সিলেটে আসছেন।

সকাল ১০টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ময়ূরকুঞ্জ কনভেনশন হলে আয়োজিত শোকসভায় অংশগ্রহণ করবেন অতিথিরা। পরে বিকাল সাড়ে ৩টায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মাইজগাঁওয়ে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া আগামী ২৫ আগস্ট সিলেট আসবেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।

২৯ আগস্ট কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি আসছেন।

১ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সিলেটে আসবেন।

দলীয় সূত্র জানায়, তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভায় যোগ দেবেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য আজিজুস সামাদ ডন এ সফরে আসছেন।

এর আগে গত ২৫ জুলাই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী অ্যাভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে নৌকার সমর্থনে তিনটি নির্বাচনী জনসভা করেন।

১৭ আগস্ট সিলেট আসেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিলের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় যুবলীগের ২২ সদস্যের একটি দল। তারা তিন উপজেলায় তিনটি সভা করেন।

১৮ জুলাই নির্বাচনী প্রচারণায় সিলেট আসেন তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাবু খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথের নেতৃত্বে তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় টিম।

জেলা পরিষদের সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান মতি যুগান্তরকে বলেন, প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে নৌকার বিকল্প নেই। নৌকা হচ্ছে উন্নয়নের প্রতীক, শান্তির প্রতীক। নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি নাম উল্লেখ না করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুইজন প্রার্থীর প্রতি ঈঙ্গিত করে বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই নৌকার বিজয় ঠেকাতে পারবে না।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তরুণ ভোটার গিয়াস উদ্দিন বলেন, নৌকা মার্কার প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি। উপনির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের মধ্যে ভোটের বাজারে নৌকার প্রার্থী ভালো বলে মন্তব্য করেন তরুণ এই ভোটার।

 

সূত্রঃ যুগান্তর