সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
আলেপ্পোতে সিরীয় বাহিনীর তীব্র বিমান হামলার মধ্যে নগরীর পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ায় সেখানে আটকা পড়া প্রায় ২০ লাখ মানুষ দূষিত পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের পক্ষ থেকে বলা হয়, শুক্রবারের প্রচণ্ড বিমান হামলার কারণে আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পানি সরবরাহকারী ক্ষতিগ্রস্ত পাম্পের মেরামত কাজ করা সম্ভব হয়নি।
আলেপ্পোর বাকি অংশে পানি সরবরাহকারী পাম্পটিও বন্ধ রয়েছে।
সোমবার যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেয় সিরীয় বাহিনী।
ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সিরীয় ও রুশ বিমান থেকে ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু হয়।
শনিবারও প্রচণ্ড বোম বর্ষণ হয়েছে। এদিনের হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটর্স।
ইউনিসেফের উপপরিচালক জাস্টিন ফরসিথ বিবিসিকে বলেন, “আলেপ্পো ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে এবং বিশ্ব সেটা তাকিয়ে দেখছে। সেখানে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে এবং প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ চলছে-সেখানে সংগঠিত সাম্প্রতিক নিষ্ঠুর আচরণ এটি।”
ইউনিসেফের মুখপাত্র কাইরন ডয়ার বিবিসিকে বলেন, পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আলেপ্পোর বাসিন্দাদের উপর ‘চরম দুর্দশা’ নেমে আসতে পারে। কারণ আলেপ্পোবাসীরা এখন দূষিত পানি সংগ্রহ করা শুরু করেছে, এতে সেখানে পানিবাহিত রোগ মহামারি আকার ধারণ করার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
“উভয় পক্ষই পানিকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বৃহস্পতিবারের বিমান হামলায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পানি সরবরাহের পাম্পটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমান হামলা অব্যাহত থাকায় সেটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।”
সূত্র: বিডি নিউজ