সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে চাপ বাড়লেও নেই যানজট

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নাড়ির টানে প্রিয়জনদের কাছে ফিরতে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। এতে রোববার গভীর রাত থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়লেও স্বাভাবিক রয়েছে সিরাজগঞ্জের যানজট আতঙ্কে থাকা ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়ক। কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজট নেই। তবে ভোরের দিকে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেশি থাকলেও এখন সেই তুলনায় কম।

সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রনি পোদ্দার বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়ছে তবে কোথাও কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। তিনি বলেন, যে তুলনায় যানবাহনের চাপ বাড়ার কথা এখনো সে তুলনায় বাড়েনি। তবে মহাসড়কে কোনও পরিবহন যেন এলোমেলো ঢুকে যানজটের সৃষ্টি না করতে পারে সেদিকে খুব খেয়াল রাখা হচ্ছে।

ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁ গামী হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার হাসান আলী বলেন, মহাসড়কের এবার এখনো কোথাও কোনও যানজট বা ধীরগতি পাইনি। তবে সেতু পূর্ব পাড়ে টোল আদায়ের কারণে গাড়ি টোল প্লাজার সামনে কিছুটা ধীরগতিতে পড়ছে। পুরো ঈদযাত্রাটা এভাবে চললে যাত্রীদের ও আমাদের পরিবহন শ্রমিকদের যাতায়াতটা নির্বিঘ্ন হবে।

হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল কবীর বলেন, রাত থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ কিছুটা বেড়েছে। আজ স্বাভাবিকের চেয়ে কিছু গাড়ি বেশি চলাচল করছে। তবে কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজটের মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা তৎপর রয়েছি।

সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসড়কে যানবাহন ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে মহাসড়কে চাপ থাকলেও কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। আশা করছি উত্তরবঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষের এবারের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন হবে। এ ছাড়াও যানবাহন ও ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে ও সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়ে টোল প্লাজার কারনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি টোল প্লাজা ও পূর্ব পাড়ের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যাগুলো সমাধান করার। যেন সেই অতিরিক্ত চাপ একবারে এসে সেতু পশ্চিম পাড়ে যানজটের বা ধীরগতির সৃষ্টি করতে না পারে।

এবারের ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে গতকাল রোববার (২৫ জুন) ভোর ৬টা থেকে প্রায় ১ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যা মোতায়েন থাকবে টানা ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন পর্যন্ত। সিরাজগঞ্জের যানজট আতংকে থাকা ৪৫ কিমি মহাসড়কের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুত হয়েছে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে থানা পুলিশ।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর হয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর দিয়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণের ২২ জেলার মানুষ চলাচল করে। এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৭-১৮ হাজার যানবাহন চলাচল করে। তবে ঈদের সময় এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫-৪৫ হাজারে। এই সময়ে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে প্রতি বছরই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তবে গত ঈদুল ফিতরে তেমন কোনও যানজট সৃষ্টি হয়নি এই মহাসড়কে। এই ভোগান্তি এড়াতে এবার ঈদযাত্রায় নলকা আন্ডারপাস ও কড্ডা ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে।