সিরাজগঞ্জে ক্রসবারের উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখ


তথ্যবিবরণী :
সিরাজগঞ্জে নদী ভাঙন থেকে লোকালয় ও ফসলি জমি রক্ষায় যমুনা নদীতে নির্মিত হয়েছে ৪টি ক্রসবার বাঁধ। ২০১৭ সালে নির্মিত ক্রসবার বাঁধের উপকারভোগ করছে এখন ওই অঞলের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্যাপিটাল (পাইলট) ড্রেজিং অব রিভার সিস্টেম ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় ২০১৩ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০১৭ সালের জুনে শেষ হয় বাঁধ নির্মাণের কাজ।

চার ভাগে বিভক্ত প্রকল্পটিতে নির্মিত ক্রসবার-১ এর দৈর্ঘ্য ১,৩৬৮ মিটার, ক্রসবার-২ এর দৈর্ঘ্য ১,০৫৭ মিটার, ক্রসবার-৩ এর দৈর্ঘ্য ১,৭৯৮ মিটার এবং ক্রসবার-৪ এর দৈর্ঘ্য ১,০৮০ মিটার। প্রকল্পে ব্যয় হয় মোট ২৪৫২৪. ৬০ লাখ টাকা।

এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল ড্রেজড স্পয়েল দ্বারা চারটি ক্রসবার নির্মাণের মাধ্যমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন ঘটিয়ে ও জরাবৎ নবফ বৎড়ংরড়হ রোধ করে সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গাইড বাঁধ যমুনা নদীর ভাঙন থেকে ঝুঁকিমুক্ত করা। যমুনা নদীর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত উৎবফমবফ ঊধৎঃয সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টের উজান ও ভাটিতে নদীর তীর সংলগ্ন নিচু ও উপযুক্ত স্থানে ফেলে ক্রসবার নির্মাণের মাধ্যমে ভূমি পুনরুদ্ধার করা।

স্থানীয় কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্রসবার বাঁধ হওয়ার আগে নদী ভাঙনে এলাকার মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে দূর্বিসহ জীবন যাপন করত। ক্রসবার তৈরির ফলে এই এলাকায় নদীভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এলাকার মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন ঘটেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকৃতির মনোরম পরিবেশ উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে সহস্র ভ্রমণপিয়াসু মানুষ বাঁধে ঘুরতে আসে। এতে করে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
স্থানীয়রা সরকারের এমন উদ্যোগে এলাকার চিত্র ব্যাপক পরিবর্তন হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান।